এম.ডি.এন.মাইকেল
বিগত সরকারের আমলে সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরী করে হাতিয়ে নিয়েছেন দেশ ও জাতির টাকা।
বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠনের পর থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি।তেমনি এইবার বেরিয়ে আসছে ভদ্রবেশী আরেক মহাদুর্নীতিবাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক মোঃ আব্দুর রেজ্জাক এর রাজকীয় দুর্নীতির নানান ফিরিস্তি।
তথ্যের সুত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে পাওয়া যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর অর্থ পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক (শিক্ষিত কর্মকর্তাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প) আব্দুর রেজ্জাক চাকরি জীবনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করার সময় সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য এলাকার নিকুঞ্জে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছেন সু-বিশাল অট্টালিকা।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি সংলগ্ন ঝিগাতলায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আলিশান ফ্ল্যাট।নিজ জন্মস্থান জামালপুরের গ্রামের বাড়ীতে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন এর উপর ডুপ্লেক্স বাড়ি, বর্তমানে উক্ত ডুপ্লেক্স বাড়ির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।এছাড়াও জন্মস্থান জামালপুরে রয়েছে নামে বেনামে বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি। অর্থ পরিচালক আব্দুর রেজ্জাক অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকা জায়েজ করার জন্য আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে ছেলেকে আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত করেন।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের অর্থ পরিচালক আব্দুর রেজ্জাক বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে স্ত্রী সন্তান সহ নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর।
অনুসন্ধানে গিয়ে নিকুঞ্জ এলাকায় আব্দুর রেজ্জাকের নির্মিত সুবিশাল অট্টালিকার আশ পাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের সাথে কথা বল্লে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন রেজ্জাক সাহেব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অর্থ পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন, কিন্তু বর্তমান পদ পদবী অনুযায়ী তিনি যেই পরিমান বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন সংসার চালিয়ে ও ছেলের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যে পরিমাণ অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে নিকুঞ্জ এলাকায় এইরকম একটা অট্টালিকা তৈরি করা কোন দিনই সম্ভব নয়।প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাহলে তিনি কিভাবে সুবিশাল অট্টালিকা তৈরি করলেন?
প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান সাংবাদিক সাহেব আপনি বুঝেন না,রেজ্জাক সাহেব অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় তিনি এই বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছেন।উপস্থিত অন্যান কয়েকজন বাসিন্দা আরও বলেন আব্দুর রেজ্জাক সাহেবকে দেখলে বুঝতে পারবেন না যে তিনি এত বড় দুর্নীতিবাজ। তাই আমরা আশা করি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে ভদ্রবেশি লেবাসধারী মহা দুর্নীতিবাজ আব্দুর রেজ্জাকের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে একটি তদন্ত টিম গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এহেন দুর্নীতিবাজ গংরা দেশ ও জাতির শত্রু। সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক মোঃ আব্দুর রেজ্জাক এর মুঠো ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া না গেলে পরবর্তীতে তাহার ব্যবহৃত মুঠো ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠানোর পরে ও কোন প্রকার উত্তর পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অর্থ মোঃ আব্দুর রেজ্জাক বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন করিয়ে তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশিত না করার জন্য সুপারিশ করান।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অর্থ মোঃ আব্দুর রেজ্জাকের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,