![](https://muktirlorai.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দিন-রাতে প্রায় অর্ধেক সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ৪-৫ বার লোডশেডি
গ্রাহকরা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। রাণীনগর সদরে বিদ্যুৎ একটু ভালো থাকলেও গ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক।
জানা গেছে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলাজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬২ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। উপজেলা সদরে ও আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের দুইটি সব-স্টেশন। গ্রহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুইটি সাব-স্টেশনে ১০টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সব গ্রহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। শহরে কম লোডশেডিং হলেও গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বেতগাড়ী এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক বেলাল হোসেন বলেন, গ্রামে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় থাকে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়।
খাসগর গ্রামের অগভীর নলকূপের মালিক জয়ন্ত কুমার বলেন, আমার নলকূপের এরিয়ায় জমির ধানগুলো পাকতে শুরু করেছে। কিছু কিছু জমিতে আর দুই-একবার সেচ দিতে হবে। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গত ৩-৪ দিন হলো প্রায় সাত বিঘা জমিতে পুরোপুরি সেচ দিতে পারিনি। ফলে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম আকিয়াব হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।