ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মঈনুদ্দিন আহমদ মসজিদ ও রওজা কমপ্লেক্স নির্মান কাজের উদ্বোধন Logo কমলনগরে হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, স্থানীয়দের মিষ্টি বিতরণ Logo অপারেশন ডেভিল হান্টে নোয়াখালীতে চেয়ারম্যানসহ আটক ৭ Logo বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তন্ম ও এসপিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক -১ Logo কটিয়াদীতে চোর আটক Logo যোগাযোগ, কোয়ালিটি শিক্ষা ও কৃষির উন্নয়নই পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন- পার্বত্য উপদেষ্টা Logo নিউইয়র্কে চতুর্থ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৫ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর Logo ব্রুনেই-কুয়াংসি অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ বেগবান করার উদ্যোগ Logo চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ মার্কিন ভোক্তাদের খরচ বাড়াবে: মুখপাত্র Logo বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে ব্রুনাইয়ের সুলতানের বৈঠক

রূপসায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৬২ টি ঘর নদীর ভাঙ্গনের মুখে

  • খুলনা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় নেহালপুর গ্রামে আঠারোবেঁকী নদীর পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিব বর্ষে, শেখ হাসিনা সরকারের আশ্রয় প্রকল্প- ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে ২৩ টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর। ঘর গুলি পেয়ে আশ্রয়নে প্রকল্পে থাকা মানুষগুলী খুশি হয়ে বসবাস করার পাশাপাশি নদীর পাড়ে কৃষি খামার করছে। তারা নানা রকম সবজি উৎপাদন করে নিজেদের খাদ্যের চাহিদার পাশাপাশি বাজারে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করে জীবন ধারন করে আসছে। এখানে সাধারন পরিবারের পাশাপাশি দুইটি সুবর্ন নাগরিকের পরিবার ও বসবাস করে। তারা ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও দিন দিন আঠারোবেঁকি নদীর ভাঙ্গনের কারনে তাদের সুখের জায়গায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নদী গর্বে বিলীন হচ্ছে তাদের কৃষি জমি। নদী ভাঙ্গনে কৃষি জমি শেষ হলেই ভাঙ্গবে চলাচলের রাস্তা। রাস্তা শেষ হলেই নদী গর্বে বিলীন হবে তাদের আশ্রয়নের শেষ সম্বল সরকারের দেওয়া জমি সহ ঘর। আশ্রয়ন প্রকল্প থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবার এবং সাধারন নাগরিকের পরিবারগুলির সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের ছিলো না কোন জমি, বসবাসের জন্য ছিলো না কোন জমিও ঘর। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা চিন্তা করে বসবাসের জন্য মুজিববর্ষে উপহার সরুপ দিয়েছেন জমি সহ পাকা ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকি নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করে করেছিলো যা প্রকল্পের ঘর গুলির তিন ভাগের এক ভাগ পড়েছে। বাকি দুই ভাগ ঘরের ভাঙ্গন রোধে নৈহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উদ্যগে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করা হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙ্গনের অস্থায়ী বাঁধটি টিকে থাকলেও চেয়ারম্যানের উদ্যগে যে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করা হয়েছিল তা প্রকৃতিক নিয়মে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিন জমি ভেঙ্গে নদীর ভেতর চলে যাচ্ছে। এখানে ৬২ টি পরিবার বসবাস করে তার মধ্যে দুইটি পরিবার রয়েছে সুবর্ন নাগরিকের পরিবার। নদী ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় বিলীন হবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলি। সকল সময় আতংকের মধ্যে দিন কাটছে আমাদের। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরগুলি রক্ষা করতে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করে আমাদের বসবাসের উপযুক্ত ব্যাবস্থা করে দেওয়া হোক। বাঁচানো হোক সুবর্ণ নাগরিক সহ সাধারন পরিবারের বসবাসের ৬২ টি পরিবার সহ তাদের কে উপহার দেওয়া জমি ও ঘর।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মঈনুদ্দিন আহমদ মসজিদ ও রওজা কমপ্লেক্স নির্মান কাজের উদ্বোধন

SBN

SBN

রূপসায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৬২ টি ঘর নদীর ভাঙ্গনের মুখে

আপডেট সময় ০৫:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় নেহালপুর গ্রামে আঠারোবেঁকী নদীর পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিব বর্ষে, শেখ হাসিনা সরকারের আশ্রয় প্রকল্প- ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে ২৩ টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর। ঘর গুলি পেয়ে আশ্রয়নে প্রকল্পে থাকা মানুষগুলী খুশি হয়ে বসবাস করার পাশাপাশি নদীর পাড়ে কৃষি খামার করছে। তারা নানা রকম সবজি উৎপাদন করে নিজেদের খাদ্যের চাহিদার পাশাপাশি বাজারে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করে জীবন ধারন করে আসছে। এখানে সাধারন পরিবারের পাশাপাশি দুইটি সুবর্ন নাগরিকের পরিবার ও বসবাস করে। তারা ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও দিন দিন আঠারোবেঁকি নদীর ভাঙ্গনের কারনে তাদের সুখের জায়গায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নদী গর্বে বিলীন হচ্ছে তাদের কৃষি জমি। নদী ভাঙ্গনে কৃষি জমি শেষ হলেই ভাঙ্গবে চলাচলের রাস্তা। রাস্তা শেষ হলেই নদী গর্বে বিলীন হবে তাদের আশ্রয়নের শেষ সম্বল সরকারের দেওয়া জমি সহ ঘর। আশ্রয়ন প্রকল্প থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবার এবং সাধারন নাগরিকের পরিবারগুলির সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের ছিলো না কোন জমি, বসবাসের জন্য ছিলো না কোন জমিও ঘর। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা চিন্তা করে বসবাসের জন্য মুজিববর্ষে উপহার সরুপ দিয়েছেন জমি সহ পাকা ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকি নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করে করেছিলো যা প্রকল্পের ঘর গুলির তিন ভাগের এক ভাগ পড়েছে। বাকি দুই ভাগ ঘরের ভাঙ্গন রোধে নৈহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উদ্যগে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করা হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙ্গনের অস্থায়ী বাঁধটি টিকে থাকলেও চেয়ারম্যানের উদ্যগে যে অস্থায়ী বাঁধ তৌরি করা হয়েছিল তা প্রকৃতিক নিয়মে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিন জমি ভেঙ্গে নদীর ভেতর চলে যাচ্ছে। এখানে ৬২ টি পরিবার বসবাস করে তার মধ্যে দুইটি পরিবার রয়েছে সুবর্ন নাগরিকের পরিবার। নদী ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় বিলীন হবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলি। সকল সময় আতংকের মধ্যে দিন কাটছে আমাদের। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরগুলি রক্ষা করতে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করে আমাদের বসবাসের উপযুক্ত ব্যাবস্থা করে দেওয়া হোক। বাঁচানো হোক সুবর্ণ নাগরিক সহ সাধারন পরিবারের বসবাসের ৬২ টি পরিবার সহ তাদের কে উপহার দেওয়া জমি ও ঘর।