
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসামে ট্রেনে কাটা পড়ে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে লাকসাম পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১৯ মে) নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে লাকসাম পৌরসভা কার্যালয় এলাকা অতিক্রম করার সময় হঠাৎ করে ওই স্কুল শিক্ষিকা রেললাইনের উপর উঠে যায়। এতেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নিহত ওই শিক্ষিকার নাম রওশন বিনতে শফিক (৪৪)। তিনি লাকসাম সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি পৌরএলাকার ৪নং ওর্য়াডের হাউজিং এস্টেটে ভাড়া বাসায় থাকেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই স্কুল শিক্ষিকা পারিবারিক ভাবে দুঃচিন্তাগ্রস্থ ছিলেন। মাসখানেক আগেও তিনি ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন ওই সময় তাকে প্রানে বাঁচিয়ে ছিলেন।ওই ঘটনায় তার স্কুলের সহকর্মী বিষয়টি জেনে তাকে বুঝিয়ে ছিলেন।
সূত্রটি আরও জানায়, চাঁদপুর জেলায় ওই শিক্ষিকার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল এবং ওই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটে। ওই সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা এলাকার মোতালেব হোসেন নামে একব্যক্তিকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পরও তার দাম্পত্য জীবন ভালো কাটছিলনা। এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়ার কারনে মানসিক ও শারীরিকভাবে তিনি বির্পযস্ত হয়ে পড়েন। এসব কারণেই তিনি ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন।
নিহত ওই স্কুল শিক্ষিকার বাবার বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামে। তার বাবার নাম মরহুম মাষ্টার শফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে লাকসাম জিআরপি থানার ওসি জসিম উদ্দিন খোন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।