
শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক জেলার দাউদকান্দি রাঙ্গাবউ কমিউনিটি সেন্টারে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন সরকার এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি জিএস সুমন সরকার এর সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুখ হোসেন।
এ সময় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের
সহ-সভাপতি ফয়সাল বারী মুকুল, মনির সিকদার
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাদব রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক – দারুস সালাম শুভ, উপদপ্তর আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক আ. রহমান মানিক সরকার, গ্রন্হনা প্রকাশনা রুবেল সরকার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুমন, উপ- প্রচার – মনিরুজ্জামান মনির, সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, সদস্য নিজাম উদ্দিন, রেজাউল ফরাজী, ডা সাত্তার, আমীর হোসেন, মেহেদী হাসান খন্দকার, শেখ ফরিদসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
উল্ল্যেখ্য, ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে এইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার তৎকালীন কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।
দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারি হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
এদিন দেশে ফিরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।
সেদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল- সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাঙালি জাতির আর্থসামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
শেখ হাসিনা এদিন বলেছিলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।