লালমনিরহাট প্রতিনিধি
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শ্রমিকদের কখনই বঞ্চিত করা যাবে না। তাদের স্বার্থও দেখতে হবে। বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের অসন্তোষের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখছেন। তারা সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন। আমরা চাই বন্দর সচল হোক।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের হলরুমে শ্রমিকদের অসন্তোষ ও ধর্মঘটের ঘটনা পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিক নেতা ও সাধারন শ্রমিক এবং প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসার প্রসার ঘটাতে বন্দর কর্তুপক্ষ করা হয়েছে। বন্দর এলাকার অর্থনীতি বেশ পরিবর্তন হয়েছে। অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের নেটওয়ার্ক বেড়েছে।
দেশে সমউন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বৈষম্য করেন না বলেই জাতির পিতা যেখানে ঘুমিয়ে আছেন সেই টুঙ্গিপাড়াও সমউন্নয়ন হয়েছে। সারাদেশ সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাটের সেই ছিটমহলের সমস্যাও সমাধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বঞ্চিত ছিটমহলকেও সমান তালে এগিয়ে নিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সৈয়দপুরে এখন ১৯টি ফ্লাইট উঠানামা করছে। যা ২০০৮ সালের আগে ছিল না। আমরা আগামী কাল চিলমারী বন্দর চালু করতে যাচ্ছি। চিলমারী পর্যন্ত রেল সংযোগ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার ধাক্কা না এলে আমরা আরও এগিয়ে যেতাম। করোনার ধাক্কায় অনেক উন্নত দেশ উলোট পালোট হয়ে গেছে। অনেক সরকার পতনও হয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি সচল রয়েছে। এটার মুল কারন নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস আর ভরসা রাখুন আরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, সাধারন শ্রমিক পক্ষের নেতা সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাধারন শ্রমিকদের মজুরী বকেয়া রাখা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে শ্রমিক নেতাদের। বকেয়া আদায় ও শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলনসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত ৬ দিন ধরে কাজ না করে ধর্মঘট পালন করছেন সাধারন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাটগ্রাম ইউএনও ৬/৭ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এ সংকট নিরসনে বন্দর পরিদর্শনে আসেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তবে বৈঠক শেষে সাধারন শ্রমিক পক্ষের নেতা সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রীর কথা সাধারন শ্রমিকদের বলে আগামী কাল থেকে কাজে যোগ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। আশা করছি বুধবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবেন।
আর বুড়িমারী শ্রমিক ফেডারেশনের (সর্দার) সাধারণ সম্পাদক সফর উদ্দিন বলেন, প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে বুধবার সকাল থেকে সকল শ্রমিক আবারো কাজ শুরু করবে। তাই আগের মত আমদানি- রপ্তানি কারক এতে খুশি হয়েছেন।