
সময়ের সাহসী সন্তান- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মুহাম্মদ নুরুল কবির করিমী
নিরব নিস্তব্ধ ছিল একাত্তরের সোহরাওয়ার্দীর উদ্যান,
শব্দ নেই কোলাহল নেই সেই বিশাল জনসভার।
লক্ষ লক্ষ বাঙালী ঐক্যবদ্ধ একাকার বিবর্ণ চাহনিতে বীর বাঙালির অপেক্ষা শুধু একজন নেতার,
অনেক দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অপেক্ষাক্ষণ বিস্ফোরণ ঘটার।
আমাদের প্রয়োজন সেই যোগ্য নেতার,
একজন শেখ মুজিব,
একজন মুক্তির দূত একজন ত্রাণ কর্তার।
নারী- পুরুষ- যুবা- কিশোরের সমাবেশ ছাত্র শ্রমিক শ্রোতার,
উত্তাল জনস্রোতে ঢেউয়ের তালে বিষন্ন মনে আগমন তাঁর।
সকলের অপেক্ষা একটা ভাষণ শোনবো জাতির দিক নির্দশনার।
অপেক্ষার যবনিকাপাত ঘটিয়ে,
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে মঞ্চের সিড়ি বেয়ে আগমন দেখেছি এক অকুতোভয় নেতার।
ভায়রা আমার বলে দারুণ বক্তৃতার ঝংকার।
বর্ণনা দিলেন চব্বিশ বৎসরের গোলামীর- শোষণ- বঞ্চনার,
জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন আর লাঞ্চনার।
একাত্তরে মুজিব বজ্রধ্বনি শুনলাম একবার,
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরে রক্তের বন্যার।
রেসকোর্সের ময়দানে সেদিনের ঝাঁঝালো হুংকার ,
ইয়াহিয়া খানের প্রতি দাবী- চাই বিচার।
আসুন দেখুন- বিচার করুন- খুনি পাক সেনার।
শোষণ নিপিড়নের নেবো প্রতিশোধ এবার।
গড়ে তোল আন্দোলন দুর্বার,
জাগো বাঙালি কাতারে কাতার,
পালানোর পথ পাবেনা হানাদার।
ফেঁসে উঠছে ঘুমন্ত শক্তির আধার,
সাধ্যে কুলাবেনা তাদের নিষ্ঠুর পাকিস্তানি -কুলাঙ্গার।
অবশেষে যুদ্ধ সংঘাত পাক বাহিনী হঠাবার,
দীর্ঘ নয় মাস পর পরাজিত পাখিদের হার মানা হার।
পাক্ জেনারেল নিয়াজির নতজানু আত্ম সমর্পণ,
জয় বাংলা ধ্বনি- প্রতিধ্বনি জয় লাল- সবুজ পতাকার উড্ডয়ন।
গোলামীর জিঞ্জির ভাঙলো বীর বাঙালী আর একবার।
স্বাধীন সার্বভৌম নব বাংলাদেশের উত্থান এবার।
লক্ষ লক্ষ শহীদ গাজীর রক্তের সফল বলিদান,
হাজার সালাম হে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।