
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা’র বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল এলাকায় হাতুড়ে চিকিৎসকের জন্য এক হাঁস খামাড়ির মাথায় হাত। আশুরাইল বেনীপাড়ার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাসিম এর বাগান বাড়িতে নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ শামীম মিয়া নামে এক ব্যক্তি হাঁসের খামাড় গড়ে তোলেন। সেখানে ৪ হাজার ৫০০শত হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে পালন করা শুরু করেন তিনি। বাচ্চা গুলোর বয়স ছিল প্রায় দের মাস।
নাসিরনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধের দোকান থেকে কৃমিনাশক ওষুধ কিনে এনে খাওয়ানোর পর থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টি হাঁস মারা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে জানায় খামাড়ী শামিম। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খামাড়ী।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে মেসার্স মা ফার্মেসীর মালিক শেখ ফরহাদ হোসেনের দোকান থেকে ৮ প্যাকেট কৃমিনাশক ওষুধ কিনে এনে ৪ হাজার ৫০০ টি হাঁসের বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বাচ্চা মরে শেষ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শামীম মিয়া বলেন, আমি ৩ প্যাকেট কৃমির ওষুধ দিতে বলি দোকানী শেখ ফরহাদ কে, তিনি বলেন তিন প্যাকেটে হবে না ৮ প্যাকেট লাগবে। সে আরও বলে আমি ট্রেনিং প্রাপ্ত চিকিৎসক ৮ প্যাকেটই লাগবে। উনার কথা মতো কিনে এনে খাওয়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার খামাড়ের ৩ হাজার ৫০০ টি মারা যায়। বাকি গুলোও এখন মরার পথে। আমার দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। আমার এখন পথে বসতে হবে। হাতুড়ে চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন স্থানীয় শালিস কারকদের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে দুইদিন পার হয়ে গেলেও কোন সমাধান দেয়নি ।পরে বাধ্য হয়ে আমি নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।
এই বিষয়ে জানতে শেখ ফরহাদ হোসেন’র মুঠোফোন (০১৭১৭২৬১৫১১) নম্বরে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। তিনি সাংবাদিক পরিচয়ের কথা শুনেই ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।