ওয়াং তান হোং রুবি:
অস্ট্রিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল সম্প্রতি চীনের কুয়াং চৌ প্রদেশে ‘চীনকে বুঝুন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের অবকাশে তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল বেশ কয়েকবার চীন সফর করেছেন। চীনকে ‘কল্যাণকর ভূমি’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে তিনি প্রথমবারের মতো চীন সফর করেন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে দেখেছেন তিনি। তার মতে চীনের এ সাফল্য অসাধারণ।
চীনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সৌভাগ্যও জড়িয়ে রয়েছে। চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আরেকবার চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মর্মে সুখবর পান। তাই চীন সম্পর্কে তাঁর বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। তিনি মনে করেন, অস্ট্রিয়া ও চীন যথাক্রমে ছোট ও বড় দেশ হলেও, দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, সংগীত, অপেরা এবং জীবন-যাপনসহ নানান ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। দু’দেশের সাধারণ মানুষের মৈত্রী দু’দেশকে একত্রে বেধে রেখেছে।
বিশ্বজুড়ে চীনের প্রভাব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন নিয়ে সন্দেহ, এমনকি সমালোচনাও রয়েছে। চীন সম্পর্কে এ ভুল ধারণা কিভাবে দূর করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুল ধারণা দূর করতে চাইলে যোগাযোগ, যোগাযোগ এবং আরও যোগাযোগ চাই; সংলাপ, সংলাপ এবং আরও সংলাপ চাই। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ কমবেশি বিচ্ছিন্ন ছিল। এ সময় মানুষে-মানুষে আস্থা, মৈন্ত্রী ও সমঝোতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন এ অবস্থা উন্নত হয়েছে। এবার ‘চীনকে বুঝুন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন একটি ভালো উদাহরণ। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা উন্মুক্ত ও আন্তরিকভাবে সংলাপ করেছেন, যা সবার জন্য নতুন অনুপ্রেরণা ও ধারণা সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.