২৫ জুন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ফোনালাপ করেছেন।
ফোনালাপে আঞ্চলিক পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে আরাগচি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এর জবাবে ইরানের পাল্টা আক্রমণ চালানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তিনি বলেন, যদিও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তবুও পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি। কেবল ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হলেই প্রকৃত আলোচনা শুরু করা সম্ভব। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে।
তেহরান আশা করে, নিরাপত্তা পরিষদ এ ব্যাপারে ভূমিকা পালন করবে। ইরানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন ও বোঝাপড়ার জন্য তিনি চীনকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন যে, তাঁর দেশ চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে, যাতে আঞ্চলিক পরিস্থিতি প্রশমনে চীন আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারে।
ওয়াং ই বলেন, চীন বরাবরই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালানো। এটি সম্পূর্ণরূপে চীনের ন্যায়সঙ্গত অবস্থানেরই প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্রের ইরান আক্রমণের পর চীন ওয়াশিংটনের নিন্দা জানিয়েছে। আইএইএ-র পর্যবেক্ষণে থাকা পারমাণবিক স্থাপনার ওপর সামরিক অভিযান চালানো জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক গুরুতর লঙ্ঘন এবং এটি পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তাই আন্তর্জাতিক সমাজের এর বিরোধিতা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বেইজিং ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপকে সমর্থন করে। চীন আশা করে, এই ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হবে এবং জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনরুদ্ধার হবে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিরাপত্তা পরিষদ যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে, সেজন্য চীন প্রচেষ্টা চালাবে।
সূত্র: সুবর্ণা-তৌহিদ-শুয়ে ফেই ফেই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.