সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদের আমন্ত্রণে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সফর করেছেন। তারা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
দু’পক্ষ বলে, চীন-ইউএই সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে উন্নয়ন হয়েছে, যা দু’দেশের নেতা ও জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ করছে। দু’পক্ষ ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদের চীন সফরে প্রেসিডেন্ট সি’র সাথে বৈঠকে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়ন করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
চীন, ইউএই’র জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। জাতিসংঘ সনদসহ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ‘তিন দ্বীপ’ সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য ইউএই’র প্রচেষ্টাকে চীন সমর্থন করে। ইউএই এক-চীন নীতি ও চীনের জাতিয় পুনর্মিলন অর্জনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে, এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের দৃঢ় বিরোধিতা করে।
চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউএই’র উন্নয়ন সাফল্যের প্রশংসা করে, এবং চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ ও ইউএই’র ‘আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০৩১’ পরিকল্পনা ও ‘পরবর্তী ৫০ বছরের জন্য উন্নয়ন কৌশলের’ সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক।
ইউএই ২০তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সফল আয়োজনের প্রশংসা করে এবং বলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপকারী সহযোগিতাকে উৎসাহিত করবে।
দু’পক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতায় অর্জিত ইতিবাচক ফলাফলের প্রশংসা করে, এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, তেল ও গ্যাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সন্ত্রাসদমন, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক, চীন-ইউএই সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।
ইউএই, চীনকে ২০২৬ সালে দ্বিতীয় চীন-আরব দেশগুলো শীর্ষসম্মেলন এবং দ্বিতীয় চীন-উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) শীর্ষ-সম্মেলন আয়োজনে সমর্থন করবে, এবং সম্মেলনের সাফল্যের জন্য চীনের সঙ্গে চেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। চীন ইউএই’র সঙ্গে চীন-জিসিসি অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার দ্রুত সমাপ্তির জন্য কাজ করতেও ইচ্ছুক।
দু’পক্ষ গাজা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে এবং জোর দিয়ে বলে যে স্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে সকল পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা উচিত। উভয় পক্ষই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’-এর ভিত্তিতে সার্বিক, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জন সমর্থন করে। সূত্র : সিএমজি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.