সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জুু গাজীর মেশিনারিজ দোকানে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার পথে অভিনব কৌশলে আমতলী থাবা পুলিশ ধাওয়া দিলে ডাকাতদল লোকালয়ে প্রবেশ করে। ওই ডাকাতদলের সদস্য আমিরুল ইসলামকে (৪০) কে উপজেলার হাজার টাকার বাঁধ নামক এলাকা থেকে স্থাণীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।ওই ডাকাতদলের আরেক সদস্যকে মহিপুর থানায় আটক করেছে। তার নাম জানা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে।
জানাগেছে,পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জুু গাজীর মেশিনারিজ দোকানে পিকআপ গাড়িতে আসা ৭-৮ সদস্যের ডাকাত দল রবিবার দিবাগত রাতে ডাকাতি করে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল মহিপুর যায়। ওই স্থানে পুলিশ একজনকে আটক করে। পরে ডাকাতদল আবারো আমতলীর দিকে ফিরে আসে। আমতলী পৌছা মাত্রই পুলিশ তাদের আবারো ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা লোকালয়ে প্রবেশ করে।উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় গাড়ী রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীয় জনতা আমিরুল ইসলাম নামক এক ডাকাতকে আটক করে। এবং তাকে গণ ধোলাই দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত আমিরুলের বাড়ী পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার রাধানগর এলাকায়। তার বাবার নাম ফোরকান শেখ। অপর ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় অভিযান অভ্যাহত রেখেছে। পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ী জব্দ করেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল গাড়ী রেখে পালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা ধাওয়া করে ডাকাত আমিরুল ইসলামকে আটক করেছি। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন,আমতলী ও মহিপুর থানায় দুইজন ডাকাত আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর ডাকাতদের আটক করতে মাঠে কাজ করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.