স্থানীয় সময় ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায়, চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি ও চীনের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনের যৌথ আয়োজনে ‘শান্তির প্রতিধ্বনি’ সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের জাতিসংঘ বিশেষ আয়োজন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রচার বিভাগের উপমন্ত্রী ও সিএমজি মহাপরিচালক শেন হাই শিয়ং এতে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু ছুং, জাতিসংঘের উপমহাসচিব মেলিসা ফ্লেমিং এবং ইউএস-চায়না এভিয়েশন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জেফ গ্রিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জাতিসংঘে ৩০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি এবং ‘ফ্লাইং টাইগার্স’ দলের প্রবীণ সদস্যদের উত্তরসূরিসহ শতাধিক অতিথি এতে অংশ নেন। সিএমজির ‘শান্তির প্রতিধ্বনি’ সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের বৈশ্বিক সিরিজ এভাবেই সূচনা হয়।
ফু ছু বলেন, ৮০ বছর আগে চীনের জনগণ সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী মিত্রশক্তি ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সাথে একত্রে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের মহান বিজয় অর্জন করেছিল। ১৪ বছরব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে চীনের জনগণ একের পর এক আত্মত্যাগ করে সাড়ে তিন কোটি মানুষের হতাহতের বিনিময়ে জাপানি সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছিল, যা বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের বিজয়ে নির্ধারক ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বের শান্তিপ্রেমী ও ন্যায়পরায়ণ দেশ ও জনগণ চীনের যুদ্ধে অমূল্য সমর্থন দিয়েছিল, একসাথে এক গৌরবময় ইতিহাস রচনা করেছিল। আমরা এখানে একত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০তম বিজয়বার্ষিকী স্মরণ করছি, যাতে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যকে পুনরায় স্মরণ করতে পারি এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
শেন হাই শিয়ং বলেন, এবারের আয়োজনে সিএমজি ‘লং স্কাই ফ্লাইং টাইগার্স’ ও ‘দ্য সিঙ্কিং অব দ্য লিসবন ম্যারু’র মতো চীনা চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছে, যা থেকে দর্শকরা শান্তির মূল্য বুঝতে পারবেন এবং শান্তি রক্ষার দায়িত্ববোধ অর্জন করবেন। চায়না মিডিয়া গ্রুপ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা জোরদার করে ন্যায়পরায়ণতা ও সমৃদ্ধির পক্ষে চীনের কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে দিতে চায়, যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন অর্জন করা যায়।
মেলিসা ফ্লেমিং বলেন, গত ৮০ বছর ধরে জাতিসংঘ সর্বাধিক সার্বজনীন ও কর্তৃত্বসম্পন্ন আন্তঃসরকারি সংস্থা হিসেবে জাতিসংঘ সনদের আদর্শ মেনে সশস্ত্র সংঘাত প্রতিরোধ, আঞ্চলিক সংকট নিরসন ও আন্তর্জাতিক শান্তি-নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ বহুপক্ষীয়তা বাস্তবায়ন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে চীনের দায়িত্বশীল বৃহৎ শক্তির ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে জাতিসংঘ সনদের আদর্শকে রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়।
জানা গেছে, ‘শান্তির প্রতিধ্বনি’ সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের বিশেষ আয়োজনসমূহ রাশিয়া, কেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মেক্সিকো ও যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: স্বর্ণা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.