মোঃ বিশাল উদ্দিন, পবা (রাজশাহী)
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ৩৫তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমার ১ম দিনের উদ্বোধনী ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। এই সময়ে এদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এজন্য ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণই একমাত্র পথ। গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ প্রভৃতি ধর্মনিরপেক্ষ নীতিমালা নয়, বরং দেশের সংবিধানে ইসলামকে মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এটাই হ’তে পারে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার মূল হাতিয়ার।
তিনি বলেন, আমরা এক ফ্যাসিজম থেকে মুক্ত হয়ে আরেক ফ্যাসিজমের কবলে পড়তে চাই না। আর সে জন্য ইসলামের রাষ্ট্রীয় অনুশাসন, ন্যায়বিচার, ক্ষমা ও মহত্ত্বের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে সারা জাতিকে ইসলামী মূল্যবোধের উপর ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ।
উল্লেখ্য, ১৩ই ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টায় দু’দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক মুছল্লী ইজতেমায় যোগদান করেছেন। আগামী শনিবার ফজর পর্যন্ত ইজতেমা চলবে ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইজতেমার ১ম দিনে বক্তব্য রাখেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ, হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী, সোনামণি পরিচালক রবীউল ইসলাম, মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী, হাফেয আখতার মাদানী, ড. আব্দুল্লাহিল কাফী আল-মাদানী, ড. আব্দুল হালীম, ড. আহসানুল্লাহ বিন ছানাউল্লাহ, হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.