মো:শাকিব রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বড় ডাংরি গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সময়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১০ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে মোঃ গোলাপ খাঁ ও আহমদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান জমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে, আহমদ আলীর লোকজন সংঘবদ্ধভাবে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ইউপি সদস্য গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহত মোঃ রফিকুল ইসলামকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী আহমদ আলীর লোকজনকে ধাওয়া করে। আতঙ্কে তারা নিজ নিজ বসতঘরে আশ্রয় নেয় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় পুলিশের পক্ষ থেকে গৌরীপুর সেনা ক্যাম্পে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ির ভিতর থেকে ১০ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে এবং ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া (২৬), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ লাল মিয়া (৫০), মোহাম্মদ লাল মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমেদ মাসুম (২২), লাল মিয়ার ছেলে লিমন আহমেদ (১৭), জসিম উদ্দিনের ছেলে শাজাহান আলী (২৭), জসিম উদ্দিনের ছেলে মজিবুর রহমান (৪০), আহমেদ আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (২৮), লাল মিয়ার ছেলে সুমন আহমেদ (২৬), আবুল কাশেমের ছেলে মোরশেদুল আলম (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে আনারুল হক (৪২)।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে বড় রামদা – ০১টি, বড় ছুরি – ০২টি, চাপাতি – ০১টি, চাকু – ০২টি, বড় বল্লম – ০২টি, দেশীয় লাঠি – ১০টি ও মটরসাইকেল – ০১টি
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং কেউ ছাড় পাবে না।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.