নিজস্ব প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসি এর প্রধান কার্যালয়ে সামনে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বাষ্ট্র সংস্কার) দাবী অনুযায়ী উত্তরা ব্যাংক পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী এর দ্বায়িত্বে থাকা রবিউল হাসানের পদত্যাগ ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বাতিলের দাবিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তরা ব্যাংক পিএলসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি নংঃ বি-১৯৩৬ (সিবিএ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোসলেউদ্দিন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক, বিএনপি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জনা শিমুল বিশ্বাসের ঘনিষ্ট সহচর, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের অর্থ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ব্যাংক ফেডারেশনের সভাপতি ও জনতা ব্যাংক জাতীয়বাদী কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম। উত্তরা ব্যাংক পিএলসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি নংঃ বি-১৯৩৬ (সিবিএ) এর সাধারন সম্পাদক আহসানুল হাবিবের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ব্যংকের আলাউদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের ইউসুফ আলী, অগ্রনী বাংকের আরিফ হোসেন, রুপালী ব্যাংকের হারুন খান, পুবালী ব্যাংকের আব্দুস সাত্তার, ও গোলাম মোস্তফা, বিডিবিএল এর শফিকুল ইসলাম, সমাবেশের প্রধান অতিথি, জনাব রফিকুল ইসলাম বলেন গত ৩ দিন পূর্বে উত্তরা ব্যাংকের সম্মানিত ডি এম ডি মহোদয়গনের সাথে সৌহার্দ্য ও নিয়ম তান্ত্রিকভাবে আলোচনা হয়। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক উল্লেখিত ডি এম ডি মহোদয়গনের কোন কথা কর্নপাত করেন নাই বরং উপস্থিত ডি এম ডি মহোদয় গনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে সমৃদ্ধ ব্যাংক খোলা রেখেছেন অথচ ওবায়দুল কাদের ও সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট দোসর উত্তরা ব্যাংকের ব্যাবস্থপনা পরিচালক রবিউল হাসান মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনী প্রধানের আহ্বানের তোয়াক্কা না করে ও জনগনের কথ্য চিন্তা না করে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি এর সমস্ত কাৰ্য্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এহেনো কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা করে তিনি (প্রধান অতিথি) বলেন অনতিবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (রাষ্ট্র সংস্কার) দাবী অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর সহ ৪ জন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নী জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। আজকের সমাবেশ থেকে মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই। রবিউল হাসানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে যাকে পছন্দ করেন, তাকে দ্বায়িত্ব দিয়ে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি কর্মচারীদের দাবী মেনে নিয়ে

ব্যাংকের নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনুন। হুশিয়ার করে বলতে চাই বলতে চাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের আহবানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ব্যাংক পরিচালনা করা যাবে না। অবশেষে ব্যাংকের মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান আর দেরী না করে রবিউল হাসানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করুন। সমাবেশের সভাপতি মোসলেউদ্দিন সকলের কাছে রবিউল হাসানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল চাইলে সকলের সমস্বরে হাত উঠিয়ে সমর্থন জানান এবং পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষনা দেন