৮ম হোংছিয়াও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের ‘বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্গঠন ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সংস্কার’ শীর্ষক উপ-ফোরাম গত (বুধবার) শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, নেতৃস্থানীয় পণ্ডিত ও শিল্প প্রতিনিধিরা বর্তমান বাণিজ্য অস্থিরতার মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করেছেন এবং বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্গঠন ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সংস্কারের জন্য ব্যবহারিক সমাধান প্রস্তাব করেছেন।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা নিয়ে আসছে। ডব্লিউটিও কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক গ্যারান্টি প্রদান করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার কর্তৃত্বকে শক্তিশালী করা সকল পক্ষের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
জেনেভায় ফ্রেন্ডস অফ মাল্টিলেটারেলিজম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লু সিয়ান খুন বলেন, অন্য কোনও আঞ্চলিক বা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ব্যবস্থা বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার বিকল্প হতে পারে না, যার এখনও অপরিহার্য মূল্য রয়েছে। ডব্লিউটিও’র সদস্যদের একটি নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যা একটি নমনীয় পদ্ধতিতে পদক্ষেপ নিয়ে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষা করবে।
চলতি বছর হল ডব্লিউটিও প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী। ২০০১ সালে ডব্লিউটিওতে যোগদানের পর থেকে চীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে আসছে, উন্মুক্ত বাজারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নকে উত্সাহিত করেছে। চীন উচ্চমানের পণ্য ও পরিষেবার আমদানি সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে, বিশাল বাজারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধিতে চালিকাশক্তি সঞ্চার করবে।
ডব্লিউটিওতে চিলির প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত আলেজান্দ্রো হালা বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের গঠনমূলক এই ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। হোংছিয়াও ফোরামের মতো আলোচনা অপরিহার্য, যা ডব্লিউটিও’র সংস্কারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। হোংছিয়াও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে, যা সকল দেশের জন্য সুযোগ ভাগাভাগির দরজা খুলে দেয়। বিভিন্ন পক্ষ আশা করে চীন আরও প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ করবে, বিশ্বব্যাপী শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং বিশ্বব্যাপী অভিন্ন উন্নয়ন প্রচারে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র:তুহিনা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.