জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নং প্রস্তাব এবং 'এক চীন নীতি'র বৈধতা দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা জোর দিয়ে বলেন, নীতিগুলো জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি চীনের হ্যবেই প্রদেশের উহানে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এমনটা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
উহান বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিশরের বেনহা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই শিক্ষামূলক সেমিনারের আয়োজন করে।
জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স মিগুয়েল ডি সেরপা সোয়ারেস বলেন, প্রস্তাব ২৭৫৮ গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারকেই জাতিসংঘে চীনের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক ইগনাশিও ডি লা রাসিলা বলেন, প্রস্তাবটি আইনগত ও ঐতিহাসিক উভয় দিক থেকেই তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা আইনগত যুক্তি এবং ঐতিহাসিক প্রমাণ ব্যবহার করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, যেমন কায়রো ঘোষণা এবং পটসডাম ঘোষণা-এরও আইনি মর্যাদা এবং স্থায়ী গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রস্তাব ২৭৫৮-কে সমর্থন করা মানে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে রক্ষা করা, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করে। চীন সরকারের একজন প্রতিনিধি সতর্ক করে বলেন, প্রস্তাব ২৭৫৮-কে বিকৃত করা বা চ্যালেঞ্জ করা কেবল চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং জাতিসংঘের কর্তৃত্বকেও চ্যালেঞ্জ করে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ প্রস্তাব ২৭৫৮ সম্পর্কিত নথি ও আইনি গবেষণামূলক দুটি সংকলিত বইও প্রকাশিত হয়।
সূত্র:শুভ-ফয়সল,সিএমজি বাংলা, চায়না ডেইলি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.