চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়া খুন ১৬ ই ডিসেম্বর বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও জর্ডান সফরের ফলাফল ও তাত্পর্য কী? দ্বিতীয় চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে আরও কোন প্রস্তুতিমূলক তথ্য দেওয়া যাবে কি?
এ প্রসঙ্গে কুও চিয়া খুন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও জর্ডান সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। এই সফরে সি চিনপিংয়ের তিন দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও চীন-আরব সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একাধিক নতুন ঐকমত্য ও ফলাফল অর্জিত হয়েছে। এই সফর চীন-আরব রাজনৈতিক আস্থাকে আরও মজবুত করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন সর্বদা ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ’ এবং ছোট-মাঝারি দেশগুলোর পাশে রয়েছে, ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে এবং তিন দেশের কৌশলগত স্বাধীনতা অব্যাহত রাখা ও নিজ নিজ দেশের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার প্রতি সমর্থন জানায়। চীন সবসময় তিন দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদার। তিন দেশ একচীন নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে, তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিন দেশ দ্বিতীয় চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনে চীনের প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। এই সফর চীন-আরব বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়েছে। উভয়পক্ষ উন্নয়ন কৌশলের সংযোগ শক্তিশালী করা, ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রের সহযোগিতা গভীর করা, নতুন ও ভবিষ্যৎ শিল্প খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ, অংশীদারিত্বের অর্থ সমৃদ্ধ করা এবং উভয়পক্ষের জনগণের জন্য আরও কল্যাণ বয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে।
এই সফর চীন-আরব সর্বাঙ্গীন সমন্বয় গভীর করেছে। তিন দেশ সি চিনপিং প্রস্তাবিত ‘চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগে’র উচ্চ প্রশংসা করে এবং সেগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে। তারা ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের ন্যায়নিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থানের প্রশংসা করেছে। উভয়পক্ষ ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা জোরদার করা, যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং যৌথভাবে বিশ্বের বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.