১লা নভেম্বর,এপেক নেতাদের ৩২তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ংজুতে শুরু হয়েছে। এপেক সচিবালয়ের নির্বাহী পরিচালক এডুয়ার্ডো পেড্রোসা এ উপলক্ষ্যে সিএমজিকে একটি বিশেষ সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে পেড্রোসা বলেন যে, এপেকের প্রচেষ্টার দিকটি ভবিষ্যতের দিকে নিবদ্ধ। এর লক্ষ্য হলো একটি উন্মুক্ত, প্রাণবন্ত, সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা। এ জন্য ‘এপেক পুত্রজায়া ভিশন ২০৪০’ প্রণয়ন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য একটি উন্মুক্ত, প্রাণবন্ত, সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা। তাই এপেকের কাজ অত্যন্ত দূরদর্শী, এবং কীভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করা যায় তা নির্ভর করে বিভিন্ন অর্থনীতির উপর।
তিনি এপেকে চীনের অবদানের উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চীন এপেকে যোগদানের পর থেকে সবসময় অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। বর্তমানে চীন একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে, যেখানে নজর দেয়া কীভাবে এই অঞ্চল এবং এমনকি বিশ্বব্যাপী উচ্চতর সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালে চীন যখন এপেক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল, তখন ‘এপেক এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল বাস্তবায়নের রোডম্যাপ’ প্রস্তাব করা হয়েছিল, এবং একই সময়ে আন্তঃসংযোগ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছিল। এই আন্তঃসংযোগ ব্লুপ্রিন্ট এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ সম্পর্কে তাঁর চীনা প্রস্তাবেরও প্রশংসা করেন, এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁর প্রস্তাবিত অবস্থানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ, উন্মুক্ততা ও একীকরণ সম্পর্কিত, এবং একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমর্থনকারী ভূমিকা সম্পর্কিত।
পেড্রোসা বলেন যে, এশিয়া-প্যাসিফিক অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গঠন প্রাথমিকভাবে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুরু হয়েছিল। আজ পর্যন্ত, এশিয়া-প্যাসিফিক অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল ইতোমধ্যেই তার নিজস্ব জীবনরেখা গঠন করেছে এবং এপেকের মিশনের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা বিদ্যমান পথ যেমন ‘আরসিইপি’, ‘সিপিটিপিপি’ এবং অন্যান্য কাঠামোগত ব্যবস্থার মাধ্যমে আশা করি যে, শেষ পর্যন্ত এশিয়া-প্যাসিফিক অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এখন আমাদের যা করতে হবে তা হল, নিশ্চিত করা যে এই চুক্তিগুলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকবে।
সূত্র:স্বর্ণা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.