সম্প্রতি বেইজিংয়ে, চীনের মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও সিনহুয়া বার্তা সংস্থার জাতীয় উচ্চ-স্তরের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যৌথভাবে, "ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণের একটি দুর্দান্ত সিম্ফনি: চীনের সিচাংয়ে গ্রামীণ উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য" শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি ইংরেজি ও চীনা ভাষায় প্রকাশিত হয়।
১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে সিচাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা সিচাংয়ের উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত, যা সিচাং তথা তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তি ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের মহান অর্জনগুলোকে একীভূত করে এবং এর সামাজিক ব্যবস্থায় একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জন করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’কে কেন্দ্র করে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি, সিচাংসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, নতুন যুগে সিচাং শাসনের জন্য পার্টির কৌশল নির্ধারণ করে, এবং পার্টি ও দেশের সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিচাংয়ে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং উচ্চমানের উন্নয়নকে উত্সাহিত করার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পরিকল্পনা করে।
সিচাং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেছে, সর্বক্ষেত্রে একটি মাঝারি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলেছে, এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে সর্বক্ষেত্রে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গঠনের একটি নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিচাংয়ে গ্রামীণ উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রধান অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে: দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ, উন্নত জীবিকা নিরাপত্তা, শক্তিশালী পরিবেশগত সুরক্ষা, এবং বর্ধিত জাতিগত ঐক্য। এ অঞ্চলে গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে একীভূত করার পথগুলোর মধ্যে রয়েছে: মান ও দক্ষতা উন্নত করার জন্য নীতিগত সহায়তা; গতিশীল সংরক্ষণ ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন; সম্পদ উন্নয়ন এবং সংস্কৃতি ও পর্যটনের একীভূতকরণ; এবং দলগত নেতৃত্ব এবং ভাগ করা অভিন্ন সুবিধা। সিচাংয়ে গ্রামীণ উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে: ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে একটি মূল্যবোধ মডেল, মানবাধিকার সুরক্ষার ওপর কেন্দ্রীভূত একটি উন্নয়ন দর্শন, এবং ব্যাপক ও সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্য।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিচাংয়ের গ্রামগুলোর রূপান্তর এ সত্য নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেছে যে: কেবলমাত্র মানুষ-কেন্দ্রিক উন্নয়ন সহস্রাব্দ অতিক্রম করতে পারে; কেবলমাত্র সংস্কৃতিতে প্রোথিত আধুনিকীকরণই টিকে থাকতে পারে; এবং কেবলমাত্র ঐক্যে প্রোথিত একটি সম্প্রদায়ই গৌরব ভাগাভাগি করতে পারে। এটি বিশ্বের কাছে প্রদর্শন করে যে, আধুনিকায়ন কোনোভাবেই পশ্চিমাকরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য নিজস্ব মাটিতে প্রোথিত চমত্কার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সৃজনশীল রূপান্তর এবং উদ্ভাবনী বিকাশ।
সূত্র :রুবি-আলিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.