কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জমিতে টিউবওয়েল ও টয়লেটের পানিতে ফসলের ক্ষতির ঘটনায় বাধা দেয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মানিক খালি ৪ নং চান্দ্পুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গালিম খারবাগ গ্রামের মোঃ আলতাব উদ্দিনের জমিতে পাশ্ববর্তী ওহাব পিয়নের ছেলে মোঃ কার্তিক গংদের টিউবওয়েল ও টয়লেটের পানি প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করে। বারা বার কার্তিক গংদের বিষয়টির সমাধান করার অনুরোধ করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মোঃ কার্তিককে টিউবলের পানির বন্ধ করার কথা বলায় তার দুই ছেলে মোঃ রাজিব ও রতন ধারানো দেশি অস্ত্র নিয়ে মোঃ আলতাফ উদ্দিন ও তার ছেলে সাংবাদিক ওয়াহিদ এর উপর হামলা করেন। এসময় স্থানীয় মোঃ গোলাপ, মোঃ শাজাহান, মোঃ মিলন, মোহাম্মদ হাজী কলম উদ্দিন সহ গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন।
পরে ওই দিন রাত সাড়ে দশটায় সাংবাদিক ওয়াহিদ মানিকখালি থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে
মোঃ কার্তিক গংরা দা, চুরি, চাপাতি ও লাঠি নিয়ে তার উপর হামলা করেন। এসময় ওয়াহিদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার ২১০ টাকা কার্তিক গংরা চিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় ওয়াহিদের চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে স্থানীয় ৪ নং চান্দ্পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজ রহমান, ইউপি সদস্য মোঃ জহুরুল ইসলাম বুলবুল, মোঃ আব্দুল আউয়াল, মোঃ উজ্জ্বল কে জানানো হয়। খবর পেয়ে কার্তিকের বড় ভাই মোঃ রতন মিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের বিচার করব, তুমি আইনের আশ্রয় নিও না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর হবেনা।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলেও কার্তিক গংরা শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিক সময় আবার সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াহিদ উপর হামলা করেন।
বর্তমানে ওয়াহিদ ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন। মোঃ কার্তিক গং দের সঠিকভাবে বিচার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছেন
জানা গেছে, কার্তিক গংরা ৫ নং ওয়ার্ডের
চান্দপুর কোনাপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে প্রতিবেশীদের সাথে মিলতে না পারায় ২০২০ সালে ওই গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে মোঃ ইনসাফ আলীর কাছ থেকে কয়েক শতাংশ জায়গা কিনেন এই গ্রামে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকেই এই গ্রামের মোঃ আলতাফ উদ্দিন সহ অন্যদের উপরে কার্তিক গংরা নানা ভাবে অত্যাচার করতে থাকেন।
এই ঘটনায় কটিয়াদী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.