বসন্তের শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠছে। এটা সিনচিয়াংয়ের ইলি কাজাখ স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের নারাত সিনিক এলাকার জন্য বছরের সবচেয়ে সুন্দর ঋতু।
হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে মৃদুভাবে মিরবেক তেলিউবেকের মুখের উপর পড়ে। ইলি নদী উপত্যকার উপরে আকাশে এই ২৩ বছর বয়সী কাজাখ তরুণ সুদর্শন পাইলট, কাজের পোশাক ও পেশাদার হেডসেট পরে, একটি রবিনসন আর ৪৪ হেলিকপ্টার ওড়ান ও সুশৃঙ্খলভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মিরবেক তেলিউবেক একটি রাখাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর একজন পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিল। ২০২৩ সালে কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি একটি সাধারণ বিমান সংস্থায় কাজ করা শুরু করেন এবং সফলভাবে হেলিকপ্টারের প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স ও বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন।
বর্তমানে মিরবেক তেলিউবেক আনুষ্ঠানিকভাবে সিনচিয়াং নারাত ইউবো জেনারেল কোম্পানিতে যোগদান করেছেন এবং একজন পেশাদার হেলিকপ্টার পাইলট হয়ে উঠেছেন। ককপিটে মিরবেক তেলিউবেক কেবল একজন দক্ষ পাইলটই নন, তিনি সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্যের একজন উৎসাহী প্রদর্শকও বটে। তিনি পর্যটকদের সামনে সিনচিয়াংয়ের সুন্দর দৃশ্য তুলে ধরেন; এখানকার বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর সুরেলা সহাবস্থানের হৃদয়গ্রাহী গল্প তুলে ধরেন; এবং তাঁর হেলিকপ্টার পাইলট হওয়ার পথে তার যাত্রার কথা শেয়ার করেন। এটি পর্যটকদের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয় এবং তিনি একই সাথে পরিপূর্ণ ও খুশি বোধ করেন তিনি।
আকাশ ভ্রমণ প্রকল্পের পাশাপাশি, মিরবেক তেলিউবেকের কোম্পানি আশেপাশের খনি এলাকায় চিকিৎসা-উদ্ধার, আকাশ থেকে মাটিতে বীজ বপন এবং আকাশে নিষেকের মতো কাজও করে। পাইলটের লাইসেন্স পাওয়ার পর, তিনি ৪৩০ ঘন্টারও বেশি সময় আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি শিক্ষকের সার্টিফিকেট পেতে চাই, শিক্ষানবিশদের ট্রেনিং দিতে চাই। আমার মতো আরও পশুপালকের সন্তানদের নীল আকাশে উড়তে সাহায্য করতে চাই।
সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.