শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন উপজেলার নির্মাণাধীন সড়কে চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক তৈরির নামে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিনিম্নমানের মাটি, বালি, ইট ও খোয়াসহ নিম্নমানের সামগ্রী। কাজ হচ্ছে না সিডিউলে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী। বালির পরিবর্তে মাটি, নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ও তার অবশিষ্ট অংশের ধুলোবালি দিয়ে রাতের আধারে কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের কাজ তদারকিতে উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিয়মে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায় "ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন" শীর্ষক প্রকল্প ( JDRIdP) প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪৪০ মিটার পিচ সড়কের কাজ চলমান।সড়কটি উপজেলার ৫ নং শিমলা -রোকনপুর ইউনিয়ন এর রোকনপুর গ্রামের
ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে রোকনপুর টু বাবরা দাসপাড়া পর্যন্ত। এ,টি,এস,ট্রেডার্স ব্যাপারি পাড়া, ঝিনাইদহ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ সড়কের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। রোকনপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন,যেভাবে নিম্ন মানের মাটি বালু ও ইটের খোয়া ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে এবং এর উপর যদি পিচ দেওয়া হয়, তাতে সড়কটি অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে ভেঙে খানাখন্দ পরিনত হবে।
নির্মাণ কাজে অতি নিম্নমানের বালিমাটি ও ইটের খোয়া ব্যবহার দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলেন, একেবারেই নিম্নমানের বালি, ইট ও খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সব হচ্ছে নিয়মের বাইরে। সড়কটিতে সিডিউলে উল্লেখিত বক্সের মাপও সঠিকভাবে করা হয়নি এবং সঠিক বালি ব্যবহার না করে করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের কাদামাটিযুক্ত বালি।
এ,টি,এস নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আহমেদ জানান, বর্তমানে বালির খুব সংকট থাকায় বাওড় থেকে উত্তোলন করা বালি রাস্তায় দেওয়া হয়েছে। আর এসও সাহেবের কথামতো ইট ব্যাবহার করেছি।
সড়কটির কাজ দেখভাল করছেন উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুজাইফা হক। তিনি জানান, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার কাজের সাইডে যে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন এবং রাস্তায় যা ফেলেছেন তা অতিসত্বর অপসারণ করার জন্য তাকে বলা হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহরিয়ার আকাশ বলেন,আমি রাস্তাটি দেখতে যাব। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করলে অবশ্যই ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ানা নাহিদ বলেন আমি কাজের একটি ভিডিও ফুটেজ আপনাদের মাধ্যমে দেখে কাজটি আপাতত বন্ধ রাখার জন্য বলেছি।তদন্ত করে যথাযথ কাজ না করলে ব্যবস্থা নিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.