মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বেদে সম্প্রাদায়ের মাঝে আশ্রায়ন প্রকল্পের তৎকালীন সময়ে চলমান কাজের কমিটি গঠনের মিথ্যা কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের সাদা ফর্মে স্বাক্ষর করে ২০২১-২২ অর্থবছরের কাবিখার দুটি প্রকল্পের প্রায় ৫৯ মেট্রিক টন চাল/গম আতœসাৎ অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রকল্প বাস্তাবায়ন কার্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল্লাহ হেল-আল-মাসুম এর বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজার মাজদিয়া বেদে পল্লীর আবাসনে মাজদিয়া বাওড়ের বেদে সস্প্রায়দের জন্য নির্মাধীন আবাসনে মাটি ভরাট প্রকল্পে ৪৫.৯০১ মেট্রিক টন বরাদ্ধের জন্য দু’টি প্রকল্প বাস্তয়ন কমিটি করা হয়। যার একটির সভাপতি হলেন, ইউপি সদস্য সোনা মিয়া,সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, শিক্ষক সদস্য ইউছুফ আলী, গন্যমান্য সদস্য শহিদুল ইসলাম ও সহিদ মিয়া। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৮১১ নং ডিওতে ৩০.৬৫১ মেট্রিক টন মাল উঠানো হয় ১৭ জানুয়ারী’২২ তারিখে। দ্বিতীয় কিস্তির ৮২৭ নং ডিওতে ১৫.২৫০ মেট্রিক টন মাল উঠানো হয় ২৭ জুন’২২ তারিখে। আরেকটি প্রকল্পে জগনাথপুর গ্রামের তেমাথা হতে বাওড় অভিমুখে রাস্তা পূর্ণনির্মাণ প্রকল্পে ১৩.০৮৫ মেট্রিক টন বরাদ্ধের জন্য প্রকল্প বাস্তয়ন কমিটি করা হয়। যার সভাপতি হলেন, ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক সোনা মিয়া, শিক্ষক সদস্য সোহেল রানা, গণ্যমান্য সদস্য শ্রী মহাদেব বিশ^াস ও ফরাদ হোসেন। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৮২৬ নং ডিওতে ৬.০৫ মেট্রিক টন মাল উঠানো হয় ৬ ফেব্রæয়ারী’২২ তারিখে। এই প্রকল্পের দ্বিতিয় কিস্তির ডিওতে ৭.০৩৫ মেট্রিক টন মাল উঠানো হয় একই তারিখে। মোট দু’টি প্রকল্পে ৫৮.৯৮৬ মেট্রিক টন মাল অনিয়মের মাধ্যেমে উত্তলন করা হয়েছে। এই মালের অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দু’টিতে যথাযথভাবে ব্যবহার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রকল্প সভাপতি ৯নং বারোবাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোনা মিয়া বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য কত টাকা বরাদ্দ এবং কত টাকার কাজ হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এছাড়া মাল উত্তলনের জন্য কোথাও স্বাক্ষর দেননি বলে জানান।কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়া আরেকটি প্রকল্প কমিটির সভাপতি বারোবাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার বিশ^াস বলেন, প্রকল্প দুটিতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা তিনি জানেন না। পিআইও-র নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা চুক্তিতে রাস্তায় মাটির দেওয়ার কাজটি তিনি আমাকে দেন। কিন্তু ৭ লক্ষ টাকা চুক্তি থাকলেও কাজ শেষে করার পর পিআইও মাসুম সাহেব আমাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার আজও দেননি।
এবিষয়ে ৯নং বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রকল্প দু’টি পিআইও অফিস থেকে করা হয়েছে। কাজ হয়েছে কি হয়নি এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এমনকি ইউপি সদস্যরাও কিছু জানেননা।
সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হেল-আল-মাসুম প্রকল্পের অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, সব নিয়ম মেনেই প্রকল্প দু’টির কাজ করা হয়েছে। এই প্রকল্প দু’টি কোথাও স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি।সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বলেন, প্রকল্ল দু’টির অনিয়মের ব্যাপারে সাবেক পিআইও মাসুম সাহেব ভাল বলতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.