এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে আগে থেকেই বিরোধ ছিল।
গত ১৯ মে জুমার নামাজের পর জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় মসজিদের সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে।
হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি জহিরের ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও ক্লিপটি নিহত এনামুল ফেসবুকে শেয়ার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এনামুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জহির, আমানসহ আরও কয়েকজন, তথ্য পুলিশ সূত্রে।
আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার নিয়ে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান।
এ ঘটনায় প্রযুক্তির ব্যবহারে শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লৌহগং এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ, তিন নম্বর আসামি আবু সাইদকে । হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুড়িটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দত্তসার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ।
ইতিপূর্বে সাত নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন (৫৫) ও ১০ নম্বর আসামি জাকির হোসেনকে (৪৫) কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন৷ মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা নং ৮৫ তারিখ ২০/৫/২৩ ইং ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
এজহার নামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.