মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ের আলোচিত ঘটনার সংবাদ প্রকাশের জেরে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন বছর ধরে আইনের জটিলতায় আটকে ছিলেন সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল (এশিয়ান টিভি) ও তার সহোদর ভাই ফয়সাল মুবিন পলাশ। অবশেষে ২০২২ সাল থেকে চলমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন তারা।
তারা কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের সাবেক আর্মি অফিসার নজরুল ইসলামের সন্তান।
২০২১ সালের কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সংবাদ প্রকাশের জেরে সিআইডি কুমিল্লা সাংবাদিক শিমুল ও তার ভাই পলাশকে আটক দেখায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
অবশেষে দীর্ঘ আইনগত লড়াইয়ের পর আদালত তাদের খালাস ঘোষণা করেন।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল বলেন, সত্য ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার কারণে আমাকে ও আমার পরিবারকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ১১ মাস অন্যায়ভাবে কারাগারে কাটিয়েছি। অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি - এটাই আমাদের বড় সান্ত্বনা।
ফয়সাল মুবিন পলাশ বলেন, এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযোগের কারণে আমাদের জীবনে এক কঠিন সময় নেমে এসেছিল। আজ আদালতের রায়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী এডভোকেট আরিফুর রহমান বলেন, অদ্য আমি সরকার প্রনিত গেজেটের আলোকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারা ৫০ (৪ ক) ধারা মতে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের কৃত মামলার প্রসিডিংস ড্রপ করার জন্য আবেদন দায়ের করি, তৎপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হয়ে মামলার প্রসিডিংস ড্রপ করত দুই ভাইকে খালাস প্রদানে করে। এতে করে দীর্ঘ ৫ বছরের অবর্ণনীয় হয়রানির অবসান ঘটে।
উল্লেখ্য: এই মামলার অপর আসামি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রকাশ গদা ইকবাল এর পক্ষে বিনা ফি তে মামলা পরিচালনা করেন। এবং তিনিও অদ্য খালাস প্রাপ্ত হন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.