কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে লাইসেন্স করা পিস্তল প্রদর্শন করায় জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে সোমবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার খলিলুরের কোমরে পিস্তল থাকার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান তাঁর নিজ বাড়িতে ৩ ফেব্রুয়ারি আগত দুই মেহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ওই সময় চেয়ারম্যানের প্যান্টের মধ্যে পিস্তলটি আটকানো ছিল। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর গত শনিবার সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি গত বছরের নভেম্বর মাসে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পিস্তলের লাইসেন্স নিয়েছি। পিস্তলের নবায়ন করা হয়েছে। এটি লাইসেন্স করা পিস্তল। এতে ১৬টি গুলি ছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাসায় মেহমান আসে। আমি তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিই। ওই সময় পিস্তলটি কোমরে রাখি। এটি প্রদর্শন করার জন্য রাখিনি। এটা কোনো অনুষ্ঠানে করিনি। আমার বাড়িতে করেছি। রাজনীতি করার কারণে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বলা আছে আমি পিস্তল ব্যবহার ও বহন করতে পারব। কিন্তু এটা নিয়ে এত কিছু হচ্ছে। পিস্তল এভাবে প্রদর্শন করা যে ঠিক নয়, তা আমি জানতাম না।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘লাইসেন্স করা হলেও পিস্তল এভাবে প্রদর্শন করা ঠিক হয়নি। ওই চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়ার পর পরবর্তী বিস্তারিত জানা যাবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.