স্টাফ রিপোর্টার :
কোলকাতায় ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো 'ভারত বাংলাদেশ উৎসব ২০২৩'। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর ইন্দুমতি সভাগৃহ মিলনায়তনে উৎসবের প্রধান অতিথি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার তাত্ত্বিক, কবি ও শিকড়সন্ধানী লেখক অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফিতা কেটে উৎসব এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি সুবোধ সরকার, কবি বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গ), ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ এর সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রানা মুখার্জি (ভারত), ড. দ্যুতি দত্ত গুপ্ত (ভারত) , অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী খান চৌধুরী মানিক (বাংলাদেশ), সব্যসাচী লেখক ফারুক প্রধান (বাংলাদেশ), লেখক সম্পাদক কামরুজ্জামান জনি (বাংলাদেশ), লেখক মতিউল মাওলা (বাংলাদেশ), কবি প্রসপারিনা সরকার (বাংলাদেশ), কবি নার্গিস জুঁই (বাংলাদেশ), মাহিদুল ইসলাম মাহী (বাংলাদেশ)। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক কবি লেখক, কন্ঠশিল্পী, বাচিক শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর সমবেত কন্ঠে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য এবং শিল্পকলাসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যেমন মিল রয়েছে তেমনি এই বিষয়গুলোর প্রতি দুই দেশের মানুষের আবেগও সমানে সমান।বাংলাদেশ ও ভারতের অনুসৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিরপেক্ষ নীতি দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য অপরিমেয় ভূমিকা রাখতে পারে।' ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভুমিকার বিষয়টি ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
কবি সুবোধ সরকার বলেন, 'ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম দেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় আসীন রয়েছে। '
কণ্ঠশিল্পী রানা মুখার্জির পরিচালনায় সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও অন্যান্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসব জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.