স্টাফ রিপোর্টার

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ঢাকার কড়াইল বস্তিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। সারারাত আগুনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো সকালে ফিরে দেখেছেন—একসময়কার বসতবাড়ি এখন শুধুই ধূসর ছাই আর পুড়ে যাওয়া টিনের স্তূপ।

আগুনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অসংখ্য পরিবার। শিশুসহ নারী-পুরুষ সবাই মিলে কোনোভাবে আশ্রয় নিলেও তাদের চোখেমুখে শোক, আতঙ্ক আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা প্রকট।

দেখা গেছে, অনেকে ভাঙাচোরা ঘরের ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে খুঁজছেন এমন কিছু, যা হয়তো এখনো ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বেশিরভাগেরই সর্বস্বই পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ—বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দলীয় উদ্যোগে কিছু সাহায্য এলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

এক ভুক্তভোগী বলেন, চারদিকে শুধু পুড়ে যাওয়া টিন আর কংক্রিট ছাড়া কিছুই নেই। আগুন সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।

আরেকজন জানান, যা সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে চলা অসম্ভব। সামনে কী হবে—একটুও বুঝতে পারছি না।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘিঞ্জি এলাকা এবং তীব্র পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

দেশটির ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন ছড়িয়ে পড়া আংশিকভাবে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত চলছে।