চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৪ অক্টোবর সকালে বেইজিংয়ের মহাগণভবনে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন দ্রামানি মাহামার সাথে বৈঠক করেছেন। বিশ্ব নারী শীর্ষ-সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে আসেন মাহামা।
বৈঠককালে সি চিন পিং বলেন, “চলতি বছর চীন এবং ঘানার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী। উভয় দেশের পুরনো প্রজন্মের নেতাদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তৈরি চীন-ঘানার বন্ধুত্ব সময়ের সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হয়েছে। চীন, ঘানাকে তার জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আধুনিকীকরণের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ও নতুন যুগে চীন-আফ্রিকার অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য ঘানার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।”
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা আফ্রিকার সাথে সহযোগিতায় আন্তরিকতা, বাস্তব ফলাফল, সখ্যতা এবং সৎ বিশ্বাস এবং ন্যায়পরায়ণতা মেনে চলে। চীন, ঘানার সাথে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বৃদ্ধি করতে এবং উভয়পক্ষের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক। উভয়পক্ষের উচিত চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের বেইজিং শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো যৌথভাবে বাস্তবায়ন করা এবং বৈচিত্র্যময় সহযোগিতার মডেল অন্বেষণ করা। খনি, জ্বালানি, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষি এবং মৎস্যের মতো খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা, ঘানার সম্পদের সুবিধাগুলোকে উন্নয়নের গতিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করা, সম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় অর্জন করা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উচ্চমানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা উচিত্। তাদের উচিত যৌথভাবে বিশ্বব্যাপী শাসন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা এবং আরও ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা প্রচার করা। চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কযুক্ত আফ্রিকান দেশগুলো থেকে পণ্যের জন্য চীনের শূন্য-শুল্ক নীতি থেকে ঘানা উপকৃত হওয়ার জন্য উন্মুখ।
মহামা বিশ্ব নারী শীর্ষ-সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য চীনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন যে, এবার শীর্ষ সম্মেলনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এবং এটি বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বার্থের উন্নয়নে চীনের নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ঘানা এবং চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তিনি চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরাম এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে সহযোগিতার মাধ্যমে ঘানার প্রতি চীনের দৃঢ় সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঘানা দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং চীনের সাথে তার সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করার জন্য ঘানা, চীনের সাথে বাণিজ্য, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি, খনি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উন্মুখ। ঘানা দৃঢ়ভাবে বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থন করে এবং চীনের সাথে সংহতি জোরদার করতে, বহুপাক্ষিক সমন্বয় বৃদ্ধি করতে, বিশ্বব্যাপী শাসন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে ইচ্ছুক।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.