আবুতালেব মোতাহার, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর স্বজনকে লেবার ওয়ার্ডের ভিতর রাতে ঘুমাতে না দেওয়ায় পপি আক্তার নামের এক নার্সকে মারধোর করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেবার ওয়ার্ডে। এসময় ডেলিভারি রোগীসহ অন্য ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পরেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মেজবাহ উদ্দিন। পরে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। হামলা ও লাঞ্ছিত হওয়ার পর গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল নার্সরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে মারধোরের ঘটনার পর অন্যান্য রোগীর সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। হামলার ঘটনায় আইনীগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের সূত্রে জানা গেছে। হামলার পর অভিযুক্ত সালমা হাপাতালে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু কোন পত্রিকার নাম বলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সূত্র জানায়, গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার গভীর রাতে ডাকুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক সালমা নামের এক নারী তার ছেলে লিমন ও ভাইয়ের ছেলে ফরহাদ মারামারি করে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসে। দায়িত্বরত চিকিৎসক লিমন ও ফরহাদকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয়। হাসপাতালে ভর্তির পর গভীর রাতে রোগীর সাথে আসা সালমা ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে গইনিী বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে রোগী থাকা অবস্থায় ভিতর ঘুমাতে গেলে দায়িত্বরত নার্স পপি আক্তার বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতÐা হয়। এক পর্যায়ে সালমা ক্ষিপ্ত হয়ে নার্স পপি আক্তারকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে। ডাকচিৎকার শুনে অন্য রোগীরা নার্সকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে গলাচিপা থানার পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বিষয় জানার জন্য চেষ্টা করা হলে অভিযুক্ত সালমাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মো. ডিপটি বলেন, ঘটনার সময় আমি কাছাকাছি ছিলাম। আমার ছেলের ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আছি। ওই মহিলা (সালামকে) গাইনি ওয়ার্ডে যেখানে ডেলিভারি হয় সেখানে ঘুমাতে না দেওয়ায় নার্সকে গালাগালি করে। এক পর্যায় চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি দেয়। আমরা নার্সকে উদ্ধার করি।
এ বিষয় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পানা কর্তকর্তা ডাক্তার মো. মেহবাহ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শোনার পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলছে। আহত নার্সকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদাউস আলম খান বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.