মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে ২৫০ শয্যার গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে। আইসিইউ নির্মাণের জন্য সব ধরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা যায়, জেলা জেনারেল হাসপাতালটিতে আইসিইউ এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর, স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ে ডিওপত্র দেন। পত্রের প্রেক্ষিতে হাসপাতালটিতে আইসিইউ নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সে মোতাবেক সচিবালয় হতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের বসবাস। আর এ জেলায় জরুরী রোগীর চিকিৎসার স্থল একমাত্র ২৫০ শয্যার গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার চালু থাকলেও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য নেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট
(আইসিইউ) বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র। ফলে মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে রংপুর অথবা বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগীকে একদিকে হয়রানী হতে হচ্ছে অপরদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। গাইবান্ধার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টির জীবন মান বিবেচনা করে তাদের চিকিৎসার মান উন্নয়নে সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সংসদ মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলার মধ্যে রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ থাকলেও সাতটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ নেই। গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুরত্ব প্রায় ৭৭ কিঃমিঃ এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৬৬ কি:মি গাইবান্ধা শহর থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা বগুড়া কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মুমুর্ষ রোগীদের আইসিইউ-তে জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে মুমুর্ষ রোগিরা আইসিইউ চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, যা অত্যন্ত কষ্টের ও মানবেতর। জনস্বার্থে গাইবান্ধা জেলায় বিপুল সংখ্যক জনসাধারণের চিকিৎসা সেবারমান উন্নয়নে একটি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) নির্মাণ জরুরি। গাইবান্ধা সদর এই হাসপাতালটিতে আইসিইউ চিকিৎসা সেবা চালু হলে মুমূর্ষু রোগীরা দুর্ভোগ ও হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পাবে, পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কমে আসবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.