“ওয়াশিংটন ডিসি, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শহরগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, “রাজধানী পুনরুদ্ধার” করার উদ্দেশ্যে, ওয়াশিংটন ডিসিতে গণ-নিরাপত্তার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং গৃহহীনদের উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সিজিটিএন পরিচালিত একটি বিশ্বব্যাপী জরিপে দেখা গেছে যে ৭৮.৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, এই পদক্ষেপটি জন-নিরাপত্তার সমস্যাগুলোকে মৌলিকভাবে সমাধান করবে না এবং গৃহহীন ও অভিবাসীদের আইনি অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন করবে।
এফবিআইয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ২০২৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২৫.৯ সেকেন্ডে একটি সহিংস অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রতি ৩১.১ মিনিটে একটি হত্যা ও প্রতি ৪.১ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জরিপে ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রে জননিরাপত্তা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; ৮১.৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, হিংসাত্মক অপরাধ এবং গৃহহীনতা প্রধান আমেরিকান শহরগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং একটি অসহনীয় ‘আমেরিকান রোগ’ হয়ে উঠেছে। গৃহহীনদের জোরপূর্বক উচ্ছেদে ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে ওয়াশিংটনের কিছু বাসিন্দা স্পষ্টভাবে বলেছেন, “ওয়াশিংটনের সমস্যার মূল কারণ জীবনযাত্রার উচ্চব্যয় এবং অপর্যাপ্ত মানসিক স্বাস্থ্য সম্পদ। জোরপূর্বক উচ্ছেদ অন্তর্নিহিত সমস্যার সমাধান করবে না।”
প্রকৃতপক্ষে, ওয়াশিংটন কেবল দেশের রাজধানীই নয়, বরং ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটিও। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে, ডেমোক্র্যাট-শাসিত ক্যালিফোর্নিয়া এবং ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পরিকল্পনা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জরিপে, ৮৭.৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, ট্রাম্প এই পদ্ধতির মাধ্যমে ডেমোক্র্যাট- শাসিত স্থানীয় সরকারগুলোকে ‘আক্রমণ’ করার চেষ্টা করছেন, যা ফেডারেল এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। ৬৬.৮ শতাংশ উত্তরদাতা আশঙ্কা করছেন যে, অব্যাহত সংঘাত বৃহত্তর দাঙ্গায় পরিণত হতে পারে। তা ছাড়া, ৮৮.৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন প্রধান শহরগুলোর বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অব্যাহত হস্তক্ষেপ রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে গভীরতর ফাটলকে প্রকাশ করে।
৮৮.৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, গৃহহীন মানুষ এবং অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র দলীয় সংগ্রামের শিকার হয়েছেন। ৮৩.৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন ডেমোক্র্যাটিক কর্মকর্তাদের শাসন ক্ষমতার উপর আক্রমণ করে তার প্রভাব প্রদর্শনের লক্ষ্য রাখে, যাতে আগামী বছরের শেষে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হয়।
জরিপটি সিজিটিএনের ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি এবং রাশিয়ান এই পাঁচটি ভাষার প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৭ হাজার ৬০২ জন নেটিজেন ভোট দেন এবং তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.