মোঃ মাসুদ রানা, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম জেলায় চান্দগাঁও থানায় কালুরঘাট হামিতচর একতার মোড়ে আজগর কলোনিতে সানাউল (২২) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
সানাউল বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার লালমোহন থানার হরিগঞ্জ ইউনিয়নের চরব্রতা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ও রুমা বেগমের ছেলে।
তিনি সাত মাস আগে বিয়ে করে স্ত্রী তানিয়া বেগমে (১৯) সহ সপরিবার নিয়ে হামিতচর এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন এবং উনার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তার স্ত্রীকে বলেন, আমি প্রতিনিয়ত গার্মেন্টসে কাজের জন্য বেরিয়ে যাই সকাল বেলা। দুপুরে লাঞ্চ করতে আসি ১টার সময়। আজকেও আমি তাই করেছি কিন্তু আজকে এসে দেখি সে শুয়ে আছে রুমে এবং বলতেছে জ্বর জ্বর ভাব। আমি তাকে বলে গেছিলাম রান্না করার জন্য কিন্তু সে রান্না না করে শুয়েছিল। আমি তার অসুস্থতার জন্য তাকে কিছু না বলে আমার মায়ের বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসে দুজনে মিলে বসে খেয়েছি। সে সময় সেখানে আমার শাশুড়ি উপস্থিত ছিলেন। তখন আমার শাশুড়ি আমার হাজব্যান্ডকে কাজ করার জন্য উপদেশ দিচ্ছিলেন। এরপর আমাদের লাঞ্চের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আমি তাকে বলি আমার অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে আমি অফিসে যাব। তখন সে আমাকে অফিসে যেতে বারণ করেন। আর আমি তাকে বলি আমাকে যেতে হবে, আমি আমার অফিসের কাউকে বলে আসি নাই। তখন সে আমার উপর রেগে যায়, এবং পরবর্তীতে আবারো তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেন। আর তখন আমি অফিসে যাই। সেখানে আমি আমার মত কাজ করতে থাকি। ৪টার সময় আমার কাছে খবর যায়, আমার হাজব্যান্ড ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সানাউলের মা রুমা বেগম বলেন, আমার ছেলের সাথে বউয়ের দুই দিন আগে থেকে তাদের ভেতর মানঅভিমান চলছিলো। যার কারণে আমার ছেলে কাজে যায় নাই। আর সেজন্য আমি আজকে তাকে কাজে যাওয়ার জন্য উপদেশ দিচ্ছিলাম। আমিও কাজ করি আমারও সময় শেষ হওয়ার কারণে আমি অফিসে চলে যাই, কিন্তু অফিসে যাওয়ার পরে জানতে পারি আমার সন্তান সানাউল রুমের ভেতর ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।খবর পেয়ে চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমকে নিয়ে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.