চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থিত দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন অফিসে সংঘবদ্ধ হামলা চেষ্টার ঘটনায় বাদ প্রতিবাদ নিন্দার ঝড় বইছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলো এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন কার্যালয়ের সামনে অন্তত চারটি বাসে করে এসে কয়েক দল যুবক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। একপর্যায়ে তারা অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে। এ ঘটনায় জামালখান এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে আশেপাশের অনেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এভাবে পরিকল্পিত ‘মব’ তৈরির মাধ্যমে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ চট্টগ্রাম প্রতিদিন কর্তৃপক্ষের।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি বিএসসি'র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিএসসির কেন্দ্রিয় আহবায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টির করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বিপন্নতার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের শাসন ব্যবস্থার মধ্যেও কিভাবে একটি গোষ্ঠী নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার পায়তারা চালায়, সংবাদপত্রকে হামলার টার্গেটে পরিণত করে- তা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ।
হামলা চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পত্রিকা অফিস ঘেরাও, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও হামলার চেষ্টা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসবের মাধ্যমে যে ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে তা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য চরম হুমকি।
চট্টগ্রাম প্রতিদিন অফিসের সামনে গণজমায়েত করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.