মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো
ডিবির এস আই জাহিদে'র অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাসি। সাধারণ মানুষ, স্বৈরাচার সরকার থাকাকালীন তার মহড়া এতটাই দাপটে অস্থিরতা ছিল তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই রাতের আঁধারে ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে বর্বর নির্যাতন, মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে হয়রানি করতে ডিবি পুলিশের এসআই জাহিদ।
তবে মোটা অংকের টাকা দিলেই পেতো মুক্তি নইলে অস্ত্র সহ বিভিন্ন মাদক মামলায় ফাঁসানো ছিলো তার মূল টার্গেট ও বানিজ্য। তার হাত থেকে রক্ষা পাইনি নিরীহ মানুষ সহ জামায়াত বিএনপির বহু মানুষ। এখন পর্যন্ত বহু মানুষ কারাগারে বন্দী। এছাড়াও মাদক কারবারিদের জোরপূর্বক হিরোইন দিয়ে ব্যবসায় লিপ্ত-মাসিক কোটি টাকার উপর কর উত্তোলন কারী ডিবি জাহিদ সহযোগিতায় থাকত তার সঙ্গীও ফোর্স দিন শেষে টাকার গুনটিতে তার স্ত্রী।
চাঁদাবাজি, হয়রানি ও বর্বর নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যের নামে মামলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত ও কারবারি ডিবির জাহিদ সহ এই মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক এ আদেশ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন বাদী হয়ে ডা. ইসমাইল হোসেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলাহাট এলাকায় এবং তিনি বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি) হিসেবে কর্মরত।
এ মামলায় তিনজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ পিরদর্শক (এসআই) আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ, কনস্টেবল খাদেমুল ইসলাম এবং গোমস্তাপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ ডা. ইসমাইল হোসেনকে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। ডা. ইসমাইল চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে গত ১২/০৬/১৯ তারিখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শান্তিমোড় এলাকায় অবস্থিত সেবা ক্লিনিকে ডা. ইসমাইল হোসেনের চেম্বারে এসে হট্টগোল সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ডা. ইসমাইল হোসেনকে গালিগালাজ করে সাবেক এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ শার্টের কলার চেপে ধরে মারধর করে। পরবর্তী সময়ে ডা. ইসমাইলকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রনি করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.