চীনের নতুন জ্বালানি শিল্প প্রসঙ্গে তথাকথিত ‘ওভার ক্যাপাসিটি তত্ত্ব’ প্রচার করছে কিছু কিছু মার্কিন গণমাধ্যম। কিন্তু প্রকৃত অর্থে, এ ধরনের তত্ত্বের কোনো ভিত্তি নেই।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম নতুন শক্তির যানবাহন উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা। ২০২৩ সালে চীনে নতুন শক্তির গাড়ি উৎপাদিত হয় ৯৫ লাখ ৮৭ হাজার ইউনিট এবং রফতানি করা হয় ১২ লাখ ৩ হাজার ইউনিট। অন্যভাবে বললে, চীনের প্রায় ৯০ শতাংশ উৎপাদন-ক্ষমতা অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণে ব্যয় হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে চীনের নতুন শক্তির যানবাহন শিল্প এর উচ্চ মানের জন্য ইতোমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে। কার্বন নিরপেক্ষতার বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য, গ্যারান্টি হিসাবে, নতুন শক্তির গাড়ির উৎপাদন-ক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ অবস্থায় এ শিল্পে ‘ওভার ক্যাপাসিটি’-র অভিযোগ স্রেফ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। এই শিল্প বৈশ্বিক বাজারের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতাই এখনও অর্জন করেনি।
বর্তমান বিশ্ব একটি সবুজ অর্থনৈতিক রূপান্তর চাইছে। এক্ষেত্রে চীনের নতুন জ্বালানি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আসলে, চীনের নতুন শক্তি শিল্পের ক্ষমতা দেখে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং এ কারণেই এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছে। একশ্রেণির মার্কিন গণমাধ্যমেরও লক্ষ্য চীনের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করা। সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.