সম্প্রতি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ চীন সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বলেন, স্পেনের সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চায় চীন। একযোগে দু’দেশের গণকল্যাণ বৃদ্ধি করা হবে, চীন-ইউরোপ সম্পর্কে প্রাণশক্তি যোগানো হবে এবং বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া হবে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চীন হচ্ছে ইইউ’র গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার। ইউরোপ-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়নে স্পেন বরাবরই সমর্থন করে। চীনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সবুজ জ্বালানিসহ নানা খাতের পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা জোরদার করতে চায় স্পেন।
এ ছাড়া, বেইজিংয়ে দু’পক্ষ চলচ্চিত্র সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এতে দু’পক্ষ চলচ্চিত্র খাতের বিনিময় ও সহযোগিতা আরও জোরদার করবে। এতে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উচ্চ মানের উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যুক্ত হবে।
চীন হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বড় চলচ্চিত্র বাজার। বিশ্বের প্রযোজক ও নির্মাতারা চীনের বাজারে আরও বেশি প্রবেশ করতে চান। তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছামত শুল্ক বাড়াচ্ছে। এর জবাবে চীনের চলচ্চিত্র প্রশাসন জানায়, ‘মার্কিন চলচ্চিত্র আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমাবে চীন’। যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছামত শুল্ক বৃদ্ধির আচরণ চীনে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন কোম্পানি, পরিচালক ও নির্মাতাদের জন্য অনিশ্চয়তা বয়ে আনছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন দের লিয়েন আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ শুল্ক খাতে একমত না হলে, ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত বড় কোম্পানির উপর ব্যবস্থা নেবে। মার্কিন সরকারের শুল্ক আরোপের কার্যক্রম তার নিজস্ব পরিষেবা বাণিজ্যের মূল শিল্পের জন্য ক্ষতি ডেকে আনছে!
চীনের উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, চীনা বাজারের সুযোগ আরও বাড়ছে। চীন ও স্পেনের চলচ্চিত্র সহযোগিতা থেকে বোঝা যায়, চীন অব্যাহতভাবে উন্মুক্ত হচ্ছে। চীন স্পেনের মত অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে বহুপক্ষবাদ রক্ষা করবে এবং মুক্ত বাণিজ্য ও আর্থিক বিশ্বায়নে সমর্থন দেবে।
সূত্র : আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.