২০২১ সালে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, চীন-আসিয়ান সম্পর্ক সুষ্ঠু উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে চলেছে। দু’পক্ষ আরও ঘনিষ্ঠ ‘চীন-আসিয়ান অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’ গড়ে তোলার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। গত (সোমবার) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২১তম চীন-আসিয়ান মেলা এবং চীন-আসিয়ান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষসম্মেলনে চীনের প্রত্যাশাসম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র লিন আরও বলেন, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো চীনের প্রতিবেশী। চীন কূটনীতিতে আসিয়ানকে বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বাস্তবায়নের মূল অঞ্চলও আসিয়ান।
মুখপাত্র বলেন, ২০০৯ সাল থেকে চীন আসিয়ানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
তাছাড়া, দু’পক্ষ পরপর চার বছর একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত, চীন ও আসিয়ানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৭ শতাংশ বেশি। আর বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত, আসিয়ানের পুরো শিল্পে চীনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১২.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চীনে আসিয়ানের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা যথাক্রমে ১৫.৩ ও ১৪.১ শতাংশ বেশি।
তিনি আরও বলেন, চীন-আসিয়ান মেলা চীন-আসিয়ান সহযোগিতা গভীরতর করা এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতকরণকে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। আসিয়ান দেশগুলোর সাথে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে চীন-আসিয়ান মেলার ভূমিকা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে, অবাধ বাণিজ্য এলাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক পুঁজি বিনিয়োগ বাড়াতে, আঞ্চলিক শিল্পের সরবরাহ-চেইনসংক্রান্ত আন্তঃযোগাযোগ ও আন্তঃসংযোগ জোরদার করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতার সুপ্তশক্তি কাজে লাগাতে, এবং আরও উচ্চ স্তরের পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়ন করতে চীন ইচ্ছুক।
সূত্র: ওয়াং হাইমান-আলিম-ছাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.