চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৩১আগস্ট (রোববার) সকালে থিয়েনচিনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০২৫ সালের শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন এবং জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ ও বিশ্বের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী স্মারক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লুকাশেঙ্কো চীন সফরে এসেছেন।
প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন যে, চীন ও বেলারুশের জনগণ একসাথে যুদ্ধ করেছে, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে। বর্তমানে, বিশ্বের শতবর্ষব্যাপী পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে, এবং মানবজাতি আবারও একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। চীন বেলারুশের সাথে যুগের দায়িত্ব বহন করতে, সত্যিকারের বহুপক্ষীয়তা চর্চা করতে এবং বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা ও জয়-জয় সমন্বিত উন্নয়ন এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, চীন-বেলারুশ সার্বক্ষণিক, সম্পূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব উচ্চপর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে, এবং উভয়পক্ষকে একে অপরের মূল স্বার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ সংক্রান্ত বিষয়ে অবিচলিত পারস্পরিক সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। উচ্চমানের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে, উন্নয়ন কৌশলের সংযোগ জোরদার করতে হবে, এবং সহযোগিতার উজ্জ্বল বিন্দু ও বৃদ্ধির বিন্দু ধারাবাহিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। ‘২০২৪-২০২৫ চীন-বেলারুশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বর্ষে’র ফলাফল কাজে লাগাতে হবে, নতুন উত্পাদনশীলতা দ্রুত বিকাশ করতে হবে, এবং দুটি দেশের উন্নয়ন ও উন্নতি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন, যুব ও স্থানীয় বিনিময় সম্প্রসারণ করতে হবে, এবং মানবিক সংযোগ ও ঘনিষ্ঠতা উত্সাহিত করতে হবে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ব্রিকস এবং অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়ায় নিবিড়ভাবে সমন্বয় করতে হবে, এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠন এগিয়ে নিতে হবে।
লুকাশেঙ্কো বলেন, প্রতিবার চীনে এসে তিনি চীনের প্রাণবন্ত উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র দেখে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। সি চিন পিংয়ের দৃঢ় নেতৃত্বে, চীন তার নিজস্ব জাতীয় পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ উন্নয়নের পথ দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করছে, বিশাল উন্নয়ন অর্জন করেছে, আরও উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখিয়েছে, এবং চীনের উন্নয়ন ও উন্নতিকে বাধা দিতে পারে এমন কোন শক্তি নেই। চীন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ন্যায়নিষ্ঠ অবস্থান বজায় রাখে, বহুপক্ষীয়তা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে, ন্যায়বিচার রক্ষা করে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়ার সহযোগিতাকে নেতৃত্ব দেয়, এবং ইউরেশিয়া ও বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বেলারুশ হচ্ছে চীনের সার্বক্ষণিক সাথী ও চিরস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু, এবং চীনের সাথে শাসন অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা গভীর করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে ইচ্ছুক।
উভয়পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থসংস্থান, মেট্রোলজি, মিডিয়া, পরিবহন, কাস্টমস পরিদর্শন ও কোয়ারেন্টাইন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে একাধিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নথি স্বাক্ষর করেছে।
সূত্র:স্বর্ণা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.