স্থানীয় সময় গত সোম ও মঙ্গলবার, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সুইডেনের স্টকহোমে, নতুন দফা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনায় অংশ নেয়। আলোচনার ঐকমত্য অনুসারে, উভয় পক্ষই স্থগিত ২৪% মার্কিন পারস্পরিক শুল্ক এবং চীনের পাল্টা ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখবে। কিছু বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে, তাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পার্থক্য সমাধান করা কঠিন হওয়ায়, এই ঐকমত্য সংলাপ ও পরামর্শের জন্য আরও সময় দিবে; আন্তর্জাতিক প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নিশ্চিততা প্রদান করবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয হল, বিনিময়ের সময় উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি সাধারণ বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে। উভয় দেশ ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীল চীন-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্কের যৌথ স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে বৈঠকে। চীন-মার্কিন বাণিজ্য পরামর্শ ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো এবং বৃহত্তর ফলাফল অর্জনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পক্ষও আলোচনাকে "গঠনমূলক" বলে বর্ণনা করেছে। বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এটি সমস্যা সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের যৌথ ইচ্ছার প্রতিফলন।
এরপর, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে একে অপরের দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং আরও জয়-জয় ফলাফলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে? এটা একটা প্রশ্ন বটে।
বর্তমানে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরামর্শ ব্যবস্থার পূর্ণ ব্যবহার অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। এই ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা জেনিভা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল, যা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য দূর করতে এবং সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক নিশ্চয়তা প্রদান করে। ৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে এক ফোনালাপে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, "উভয় পক্ষেরই প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরামর্শ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার করা উচিত।"
বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় ও বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় রয়েছে। এক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। যতক্ষণ পর্যন্ত পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জয়-জয় নীতির ওপর ভিত্তি করে সংলাপ ও সহযোগিতা পরিচালিত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের পথ নিঃসন্দেহে পাওয়া যাবে।
সূত্র: শুয়েই-আলিম-শিশির,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.