দেশের স্বল্প সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে মানসম্মত আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করতে সরকার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) সৃষ্টি করেছে। গৃহায়ন সংকট নিরসনকল্পে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবন ও প্লট তৈরি করার কাজ করছে সংস্থাটি। কিন্তু অদৃশ্য অথবা ওপেন সিক্রেট তদবির, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজোস, দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল জাগৃক। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের জিম্মি করে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ারও নজির রয়েছে। দিনের পর দিন এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুন করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, মিরপুর, ঢাকা ডিভিশন-১ কে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী।
সেবাপ্রত্যাশীরা সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী।
সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বারান্দা থেকে শুরু করে অফিস রুমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এতে হয়রানির শিকার হয়েছেন বহু সেবাপ্রত্যাশী। এবার সেই হয়রানি ও দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যেকোন সেবা প্রত্যাশীরা নির্ভয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন। মন দিয়ে তিনি তাদের সমস্যার কথা শুনে নিমিশেই সমাধান করে দেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসনের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যও আবাসন নির্মাণ ও প্লট বরাদ্দ করেছে সংস্থাটি।
আগামীতেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতে পরিকল্পনা চলছে।
জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যত্রতত্র ভবন নির্মাণে মানুষকে নিরুৎসাহীত করতে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা করছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে স্বল্প আয়ের মানুষ আবাসনের আশায় জাগৃকে দরখাস্ত করার পর কিছু অসুধা কর্মকর্তা-কর্মচারীরর জন্য বছরে পর বছর দপ্তরে দপ্তরে ঘুরাঘুরি করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। জোয়ারদার তাবেদুন নবী বলেন, কোনো সংস্থার ভেতরে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গৃহায়ন সংকট নিরসনকল্পে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, মিরপুর, ঢাকা ডিভিশন-১ কর্তৃপক্ষকে ঘিরে দালালচক্র ও দুর্নীতির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির রাশ টেনে ধরতে না পারলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না, উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাবে না। সেবা পেতে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেগুলো দূর করা হয়েছে। যাতে করে সেবাপ্রত্যাশীরা সহজেই সেবা পান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.