মো জাহিদ, ঝালকাঠি
ঝালকাঠি সদর থানায় বসে এক তরুণী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই তরুণীকে দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করলে প্রাণে বেঁচে যায় সে। বর্তমানে ওই তরুণী সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার একটি গ্রামে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে ওই তরুণী। তাদের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি একই গ্রামের শামীম নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ঐ তরুনী। সোমবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে ৮ মাসের সন্তানকে নিয়েই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় তরুণী। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা তার মেয়ে পালিয়ে গেছে মর্মে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে প্রেমিক শামীম ও তরুণীকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে রাখা হয় তরুণীকে। আর হাজতখানায় রাখা হয় শামীমকে। শামীমকে রেখে স্বামীর সঙ্গে যেতে ওই তরুণীকে পরিবার ও পুলিশ চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় মেয়েটির সঙ্গে থাকা বিষের বোতল বের করে তা পান করে। পুলিশ দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াশ করে বিষ বের করে ফেলেন। এতে প্রাণে বেঁচে যায় ওই তরুণী। ওই তরুণী জানান, আমি শামীমকে ভালোবাসি। তাঁর সঙ্গেই যেতে চাই। এ ছাড়া আমার কোন কথা নাই। স্বামীর সাথে যেতে চাপ প্রয়োগ করায় আমি বিষ পান করি। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শামীম নামে এক যুবক ও তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে থানার মধ্যে একটি কক্ষে তরুনী তার সাথে থাকা বোতল থেকে বিষ পান করে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুতো সময়েই সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই তরুণীকে ওয়াশ করে বিষ বের করে ফেলা হয়েছে। আপাতত সে শংঙ্কামুক্ত আছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ঐই তরুনীকে তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় আনা হয়েছিল। তার বাবা তাদের সাথে যেতে বলার কারণে তার সাথে থাকা বোতল থেকে বিষ পান করে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঐই তরুনী। ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম এ ঘটনা তদন্ত করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.