মোঃ তারিকুল ইসলাম খন্দকার, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ একটানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে টানা চতুর্থবারের মতো বন্যার কবলে পড়েছে লালমনিরহাট জেলা। তবে এক দিনের ব্যবধানে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। জেগে উঠতে শুরু করেছে ডুবে থাকা রাস্তাঘাট, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পুনরায় শুরু হয়েছে ক্লাস কার্যক্রম।
তবে সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, মহিষখোচাসহ নিম্নাঞ্চলের আমন ক্ষেত ও অন্যান্য ফসল এখনও পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক আল আমিন মিয়া জানান, “ধান কাটার মাত্র ক’দিন বাকি ছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে সব ধান ডুবে গেছে। বছরের পরিশ্রম একদিনেই শেষ।”
একইভাবে মৎস্য ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন, “বন্যার পানিতে আমার মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
এদিকে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার। এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিধান কান্তি হালদার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঘন ঘন আকস্মিক বন্যা থেকে মুক্তি পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.