মো: নাজমুল হোসেন ইমন,মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শিক্ষাদান প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক ও একই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষিকা মুনজেরিন শহীদের। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে আকদ সম্পন্ন হয়। আয়মান সাদিকের ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিয়ের পর বিকাল সোয়া পাঁচটায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মুনজেরিন। এতে আয়মান সাদিকের সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙয়ের শাড়ি পরা একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার তারকা খুঁজে পেয়েছি।’
একই ছবি শেয়ার করেছেন আয়মান সাদিকও। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অনুভূতিটা অদ্ভুত।’
এদিকে, আয়মান-মুনজেরিনের বিয়ের ছবিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকে কমেন্টে করেছেন। উমেদ ইবনে-মোস্তফা নামে একজন লিখেছেন, ‘পছন্দের মানুষকে নিজের করে পেয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি সবাই পায় না, এইজন্য ই মনে হয় অদ্ভুত লাগে! ভালোবাসা সুন্দর! বেশি ই সুন্দর। পছন্দের মানুষ গুলো একসাথে থাকলে সেইটা দেখতে আরো ভালো লাগে।’
হিমু আক্তার নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘অভিনন্দন। দুজনকেই শুভ্র লাগছে। এই ইনিংস আজন্ম নট আউট থাকুক।’ হানিফ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আগেই মনে হয়েছিল এমন কিছু হবে। দু’জনকেই শুভকামনা। এছাড়াও অজস্র মানুষ এই জুটিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।’
এর আগে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি কার্ডে দেখা যায়, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাইয়েবুর রহমান ও শারমিন আক্তারের পুত্র আয়মান সাদিক এবং শহীদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মনোয়ারা শহীদের কন্যা মুনজেরিন শহীদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার তারিখ বলা হয়েছিল। পরে সে কার্ডের সত্যতা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকা এ জুটি বিয়ে নিয়ে কঠোর গোপনীয়তাই বজায় রাখতে চেয়েছেন।
কুমিল্লায় জন্ম নেয়া আয়মান সাদিকের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ শেষ করে ২০১৫ সালে ‘টেন মিনিট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাত থেকে গ্রহণ করেন ‘কুইনস ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’। ফোর্বসের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেরা ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পান একই বছর।
এদিকে, চট্টগ্রামের মেয়ে মুনজেরিন শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর শতভাগ বৃত্তি নিয়ে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.