এম.ডি.এন.মাইকেল
বিগত সরকারের আমলে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সাধারণ জনগণকে ঠকানোর মত ভাওতাবাজির স্লোগান দিয়ে বিদ্যুতের জ্বালানি খ্যাত থেকে লোপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তৎকালীন সরকারের সময় সংসদে যখন কোন সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উপস্থাপন করার সাথে সাথেই তেলে বেগুনে ক্ষিপ্ত হয়ে যেতেন তৎকালীন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তার মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি অহংকারের সাথে প্রশ্ন কর্তা সেই সাংসদ সদস্যদের বলতেন বিদ্যুৎ জ্বালানি সেক্টর নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার আপনাদের কারো কোন অধিকার নেই।জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতি মন্ত্রীর আশীর্বাদ এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের এমপি মন্ত্রী ও নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে বিদ্যুৎ জ্বালানি সেক্টরে দুর্নীতির মহোৎসব হয়েছিলো। দুর্নীতির সেই মহোৎসব থেকে রক্ষা পায়নি ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ডিপিডিসি)।
ডিপিডিসি বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মিটার রিডার ইউছুফ কামাল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় মিটার রিডার ইউছুফ কামাল এর গ্রামের বাড়ী শরীয়তপুর জেলায়।
ডিপিডিসি নারিন্দা জোনে কর্মরত। অনুসন্ধানে জানা যায় মিটার রিডার ইউছুফ কামাল আওয়ামী সরকার আমলে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া ও শরীয়তপুরের একজন প্রভাবশালী এমপি'র পৃষ্ঠপোষকতায় ডিপিডিসি প্রধান কার্যালয়ের আওতাধীন সকল জোনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক শত কোটি টাকা।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ইউছুফ কামাল ডিপিডিসি'র সামান্য মিটার রিডার পদে চাকরি করে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গড়েছেন কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আলিশান বাড়ি এবং রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য এলাকায় রয়েছে নামে বেনামে একাধিক ফ্লাট ও প্লট।গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে রয়েছে স্ত্রী সন্তান আত্মীয়-স্বজন সহ নামে বেনামে কয়েক শত বিঘা সম্পত্তি ও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে রয়েছে কয়েক শত কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র এফডিআর।যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার আলিশান ভবনের আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় মিটার রিডার ইউছুফ কামাল এই আলিশান ভবন তৈরি করতে মিনিমাম বেশ কয়েক কোটি টাকার উপরে খরচ করেছেন,আর ভবনের ভিতরে আরো মিনিমাম ২০ কোটি টাকার উপরে সাজসজ্জার কাজে ব্যয় করেছেন।এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার আলিশান ভবনের আশপাশের বাসিন্দারা তাকে দানবীর হিসেবেই জানেন! প্রতিবেদক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাকে প্রশ্ন করা হয় কি আপনারা কি জানেন এই আলিশান ভবনের মালিক ইউছুফ কামাল ডিপিডিসি অফিসে সামান্য বেতনে চাকরি কারা একজন মিটার রিডার, প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে স্থানীয় বাসিন্দারা অবাক হয়ে বলেন যে সামান্য মিটার রিডার পদে চাকরি করে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মতো জায়গায় এই আলিশান বাড়ি করা কোনদিন সম্ভব নয় অবশ্যই তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পদ গড়েছেন।এহেন দুর্নীতিবাজদের সব জাতির শত্রু, আমরা এই দুর্নীতিবাজের বিচার চাই।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মিটার রিডার ইউসুফ কামাল তার নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির টাকা হালাল করার জন্য হজের লাইসেন্স বানিয়ে রাজধানী ঢাকার সায়দাবাদ অফিস দিয়ে সারা দেশে অনিয়ম দুর্নীতির জন্য শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।মিটার রিডার ইউছুফ কামালের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ডিপিডিসি প্রধান কার্যালয় এক নং আব্দুল গনির রোডে গিয়ে তার সহকর্মীদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সহকর্মীরা জানান।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিটার রিডার ইউছুফ কামালের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিবাদ করলে এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্থের শিকার হতে হয়েছে বহুবার,সেই জন্য পরবর্তীতে কেউ আর মান-সম্মানের ভয়ে ইউছুফ কামালের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করার সাহস পেত না, এবং তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।
ডিপিডিসির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন মিটার রিডার ইউছুফ কামালের সকল অনিয়ম দুর্নীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন শ্রমিকলী কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া ও শরীয়তপুরের এমপি ইকবাল হোসেন অপু তাদের আশকারায় মিটার ইউসুফ কামাল দানব এর রূপ ধারণ করে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, বদলি পদোন্নতি, ডিপিডিসি প্রধান কার্যালয় সহ ডিপিডিসি'র আওতাধীন সর্বত্র রাম রাজত্ব কায়েম করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন এর মাধ্যমে বর্তমানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন। এমনকি মিটার রিডার ইউছুফ কামাল প্রকাশ্য ডিপিডিসি কার্যালয়ে বলে বেড়াতেন অনিয়ম দুর্নীতি টাকা আমি একা খাই না কি? আমার এই সব অনিয়ম দুর্নীতির টাকা সিংহভাগ মন্ত্রী,ও জাতীয় শ্রমিক লীগে আমার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া এবং আমার শরীয়তপুরের স্থানীয় এমপি ইকবাল হোসেন অপু সহ সবার মাঝে বন্টন করে দেওয়ার কারণেই আজ পর্যন্ত আমার কেউ কিছু করতে পারেনি,এমনকি আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন পর্যন্ত কেউই আমার কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
তাই আমরা চাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে মহা দুর্নীতিবাজ মিটার রিডার ইউছুফ কামালের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওর দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করে তার অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসলে ভবিষ্যতে কেউ ডিপিডিসিতে দুর্নীতি অনিয়ম করার সাহস পাবে না। মিটার রিডার ইউছুফ কামালের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তা জানতে, তার ব্যবহৃত মুঠো ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়ে এবং খুদেবার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিটার রিডার ইউছুফ কামালের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের আরো অনুসন্ধান চলমান,,,,,,
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.