সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইনে করা আবেদনের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও মিলেনি তথ্য।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলীর নিকট একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুসারে দেশের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে এমন তথ্য ছাড়া যে কোন তথ্য প্রদানে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।এ আইনে যেকোনো তথ্যের জন্য আবেদন পাওয়ার ২০ কার্য দিবসের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। উপরোল্লিখিত কিছু তথ্য ছাড়া কারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সব তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দ–সংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে দীর্ঘ দিন ধরে গড়িমসি করেন উপজেলা অফিসের এলজিইডি'র কর্মকর্তারা।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে ২০২৪ সালে ১৮ মার্চ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তথ্য না পেয়ে সংক্ষুব্ধ মোঃ মহসিন মাতবর জানান, উন্নয়ন প্রকল্পে নানা ধরনের বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।তাই প্রকল্পের তথ্য দিতে কর্মকর্তারা গড়িমসি করেন।
তিনি আরও বলেন প্রকল্পের তথ্য দিতে শুধু গড়িমসি নয়, অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হয়রানিও করেন এলজিইডি'র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী।
দৈনিক কালবেলার আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এলজিইডি'র একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মানের কার্যাদেশ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে গত ১২ জানুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান।আবেদন জমা দিতে চাইলে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়।একপর্যায়ে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আবেদন জমা না নিয়ে বরগুনা জেলা কার্যালয়ে জমা দিতে বলে ফিরিয়ে দেন।
উপজেলা দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূহ আলম নবীন বলেন, দেশে দুর্নীতির যে ক্ষেত্রগুলো আছে, তার অন্যতম হলো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঘিরে। আর প্রকল্পসংক্রান্ত তথ্য দিতে কর্মকর্তাদের গড়িমসি সেটারই প্রতিফলন বলে মনে করা যেতে পারে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
বরগুনার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খান বলেন,তথ্য চাইলে দিতে হবে না দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.