ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার অন্তর্গত ২১নং ঢোলার হাট ইউনিয়নে অবস্থিত মাধবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৬ইং সালে স্থাপিত হয়ে বিদ্যালয়টি এ এলাকায় নারী শিক্ষার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১০জন শিক্ষক-কর্মচারী ও ৯৫জন ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু অতীব দূঃখের বিষয় বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ ৩ দশকেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। নানা সমস্যায় জর্জড়িত বিদ্যালয়টি আজও তার ইতিহাসের স্বাক্ষ্য বহন করে যাচ্ছে। সমস্যার মধ্যে বিদ্যালয়ে নেই কোন ভৌত অব কাঠামোগত সুযোগ সুভিধা।
যেমন, বিদ্যালয়ে ভালো মানের কোন বিল্ডিং নেই, বিদ্যালয়ের চতুর্পাশ্বে নেই কোন প্রাচীর, ক্লাস রুমের অপ্রতুলতা, আসবাস পত্রের অভাব, নেই কোন মান সম্মত টয়লেট ব্যবস্থা, পয়নিষ্কাশনের অভাব, ভাঙ্গা টিনের ঘরে পাঠদান, ক্লাস রুমে নেই ব্লাকবোর্ড/হোয়াইট বোর্ড, ডিজিটাল ব্যবস্থার ছোঁয়া নেই। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের অনুদান বাবদ ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা সর্বসাকুল্যে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বরাদ্দ পেলে উক্ত টাকা দিয়ে ৩ রুম বিশিষ্ট ১টি ইটের দেওয়াল সহ টিনসেড ঘরের কাজ করা হয়েছে।
এর ১টি রুমে অফিস কক্ষ অপর ২টি ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও খোলা মেলা একটি ভাঙ্গা টিনের ঘরে কোন মতে চলে পাঠদান। তাও যে কোন সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাঅবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টিতে একটি মান সম্মত ভবন নির্মাণ সহ জরুরী প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীর ও এলাকা বাসির। মাধবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ বর্মনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের অবকাঠমো গত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না পাওয়ায় এলাকার অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ স্কুলে ভর্তি করাতে চায় না। এ বিষয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
২১নং ঢোলার হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, আসলে বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে কথা বলবো। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো: খাইরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কোন বরাদ্দ আসলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্কুলে দেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.