আমি জানি তুমি আসবে
আমার অস্তিত্বের শেষ বিশ্বাস টুকুকে আশ্রয় করে
বসে আছি অচেনা প্রাচীন বনানী বৃক্ষমূলে।
তুমি আসবে তপ্ত দুপুর শান্ত হলে
ছায়ার মত সরে যেতে দেখি
তোমার মুখের মিষ্টি হাসি
বিশ্বাস ঢলে পরে বিষণ্ণতার বুকে।
অজানা অচেনা স্বপ্নগুলি একে একে ভীড় করে
শতাব্দীর বুকে পা ফেলে হেঁটে তুমি ক্লান্ত
জমে থাকা বরফ কখনো হয়তো
গলে জল হবে
ভিজবে আমার শুষ্ক মরু প্রান্তর
অপেক্ষার তিক্ততা শেষ হলে
তুমি আসবে।
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়কে ধীরে ধীরে
ক্ষয়ে যেতে দেখেছি
দেখছি স্রোতস্বিনী নদীকে উচ্ছ্বাস হারাতে
হাওয়ার গতি পরিবর্তন হতে দেখেছি
রাস্তাকে দেখেছি হারিয়ে যেতে।
ভেজা চোখ গেছে শুকিয়ে
ঘন নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এসেছে নাড়ী ছিঁড়ে
অচেনা ফুল হয়েছে মালা
কঠিন শিলা হয়ে থাকব বসে
এই পৃথিবীর শেষ কোন প্রান্তে
তুমি আসবে বলে।
আকাশের কালিমা ঘোচাবে চাঁদ
এই পৃথিবীর সবুজ ঘাসের বুকে
আমার বিচরণ
অপলক সাক্ষী থাকবে তোমার বাসনা।
চোখের জ্যোতি ছিঁড়ে
মন করে তোমার কল্পনা
অখণ্ড চিন্তার মাঝে তুমি থাক জীবিত
দেহটা পোড়া কয়লা হলেও
আমার হৃদয় জুড়ে তুমিই থাকবে।
তোমাকে নিঃশেষ হতে দেখেছি
জন্ম জন্মান্তরের অতৃপ্ত ঝড়ে।
আমার চিতার শেষ লেলিহান শিখায়
উদ্ভাসিত হাসিতে মন ভরাবে আমার
সে শিখা জ্বলতেই থাকবে
তুমি আসবে বলে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.